করোনা সংক্রমণের সময় থেকে শুরু হয়েছে অনিয়মিত বাস ভাড়ার উৎপাত। বেসরকারি বাস ও মিনিবাসের ভাড়া নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। কোভিডের পর থেকে রাজ্যের বেসরকারি বাসগুলির জন্য কোনও ভাড়া নীতি নেই। এই অভিযোগ তুলে গত ফেব্রুয়ারি মাসে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী প্রত্যুষ পাটোয়ারি। সেই সংক্রান্ত মামলাতেই আদালত আজ এই নির্দেশ দিয়েছে।
মামলাকারী আইনজীবীর দাবি ছিল, ২০১৮ সালের পর থেকে নতুন ভাড়ার তালিকা তৈরি হয়নি। ফলে ওই নিয়ম মেনেই ভাড়া নেওয়ার কথা। কিন্তু এখন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইচ্ছামতো ভাড়া নিচ্ছে বেসরকারি এবং মিনিবাস। আদালতে এই অভিযোগ জানানোর পরে উচ্চ আদালত রাজ্যের পরিবহণ সচিবের কাছে হলফনামা চেয়েছিল। তবে তাদের যুক্তি ছিল, বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতি বুঝে কোনও বাসের রুট, সময়সূচি এবং ভাড়া সবটাই ঠিক করে পরিবহণের আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ (আরটিও)। পরিবহণ দফতর এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে না। তবে এবার ফের নতুন করে রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।
মূলত তিনটি বিষয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে, এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, ভাড়ার তালিকা সব বাসে লাগানো রয়েছে কি না। দ্বিতীয়ত, সরকারের বেঁধে দেওয়া বা নির্ধারিত ভাড়া বেসরকারি বাসগুলি নিচ্ছে কি না। একই সঙ্গে, নিশ্চিত করতে হবে কোথাও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। তৃতীয়ত, যাত্রীদের অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।