পূর্ব কলকাতার দ্য হেরিটেজ স্কুলের একাদশ শ্রেণির ১২০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী সবচেয়ে সক্রিয় কমার্সিয়াল ভেহিকেল সেগমেন্টের বৈদ্যুতিক বাসের উত্পাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করল ভারতের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক বাস অপারেটর পিএমআই ইলেক্ট্রো মোবিলিটির হরিয়ানার ধারুহেরায় অবস্থিত পিএমআই ইলেক্ট্রো মোবিলিটির ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে। শিক্ষার্থীরা অত্যাধুনিক উত্পাদন প্রক্রিয়াগুলি দেখে বিস্মিত ও অনুপ্রাণিত বোধ করে এবং গ্রীন মোবিলিটি সলিউশন ও স্থায়ী ভূমিকার গভীরতা উপলব্ধি করে, যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদৃষ্টি অনুযায়ী ভারতকে নেট জিরো মিশনের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে। প্রথমে শিক্ষার্থীদের সেফটি প্রোটোকল বিষয়ে প্রয়োজনীয় করণীয় সম্পর্কে প্রাথমিক ব্রিফিং ও প্ল্যান্ট কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুসারে নির্দেশাবলী বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তারপরে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদান করা হয়, যার আগে তাদের কোনও জরুরী পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তা থেকে বেরিয়ে আসা সম্পর্কেও অবহিত করা হয়। প্রাথমিক ব্রিফিংয়ের পরে, শিক্ষার্থীদের কারখানার দৈনন্দিন কাজকর্ম ও প্রক্রিয়াগুলি প্রত্যক্ষ করার জন্য উত্পাদন ও ব্যাটারি প্ল্যান্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পিএমআই ইলেক্ট্রো মোবিলিটির সম্পূর্ণ মহিলা-চালিত ব্যাটারি উত্পাদন প্ল্যান্টটি দেখে অনেক শিক্ষার্থী বিস্মিত হয়।
পিএমআই ইলেক্ট্রো মোবিলিটি সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও ডঃ অঞ্চল জৈন বলেন, তরুণদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও অন্বেষণের আগ্রহে একটি বিশাল পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষার্থীরা আজকাল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে সমানভাবে উদ্বিগ্ন এবং দৈনন্দিন জীবনকে যতটা সম্ভব নিরাপদ করে তোলার জন্য তাদের সর্বোত্তম সম্ভাব্য উপায়ের দিকে মনোযোগ দিয়ে থাকে। ই-বাস তৈরির প্রযুক্তিগত দিকগুলি সম্পর্কে তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি এই দিকটিও বেশ আকর্ষণীয় ছিল।
তিনি জানান, পিএমআই ইলেক্ট্রো মোবিলিটিতে সম্ভাব্য সবরকম পদক্ষেপে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করার জন্য ক্রমান্বয়ে কাজ চলছে এবং ‘নেট জিরো’তে পৌঁছানর জন্য চেষ্টা চলছে। তবে কাঁচামাল সংগ্রহ ও উত্পাদন থেকে ডেলিভারি পর্যন্ত প্রক্রিয়াগুলিও পদ্ধতি হিসেবে উল্লেখযোগ্য।শিক্ষার্থীরা কারখানা প্রাঙ্গণে ই-বাস যাত্রা উপভোগ করে এবং ই-বাসের উত্পাদন সম্পর্কে তাদের বিস্তারিতভাবে অবহিত করার জন্য পিএমআই কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানায়। তারা দিনটিকে একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হিসেবে মেনে নেয় এবং অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে পছন্দ করার জন্য বিবেচনা করার চিন্তাভাবনার কথা প্রকাশ করে।