পরিস্থিতির সাথে সাথে বদলে গেলো পরিচয়। সুপ্রিম কোর্ট এক বছরের জেল হাজতের সাজা শুনিয়েছে পঞ্জাবের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজোৎ সিং সিধুকে। এই রায় ঘোষণার পরেই আত্মসমর্পণ করেন সিধু। এরপর থেকেই তাঁর ঠিকানা হয়েছে পাটিয়ালা জেলের সাত নম্বর ব্যারাক। কিন্তু জানা গিয়েছে, জেলযাত্রার প্রথম দিন কিছুই খাননি সিধু, তাঁকে শুতে হচ্ছে সিমেন্টের চাতালে গদি পেতে। এটাই তাঁর বিছানা।
সিধুর সঙ্গে আছেন তাঁর অন্যতম রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ শিরোমণি অকালি দলের নেতা বিক্রম সিংহ মাজিথিয়া। একটি মাদক মামলায় তিনিও বন্দি পাটিয়ালা জেলে। এক সময় ভারতীয় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন নভজ্যোত সিং সিধু। ওপেনিং ব্যাটার সিধু এক সময় ছিলেন এমন খেলোয়াড় যার টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে ব্যাটিং গড় ছিল ৪০-এর উপর। দেশের ১৬৬ তম টেস্ট প্লেয়ার ছিলেন তিনি।
আর এখন তাঁর পরিচয় পঞ্জাবের পাটিয়ালা জেলের কয়েদি নম্বর ২৪১৩৮৩। জানা গিয়েছে, জেলে তাঁকে নিয়মিত কাজ করে যেতে হবে। তার জন্য দিনে সর্বোচ্চ ৯০ টাকা আয় করতে পারবেন সিধু। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত করতে হবে কাজ। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিদিন ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠতে হবে তাঁকে।
১৯৮৮ সালে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোকে কেন্দ্র করে গুরনাম সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন নভজোৎ সিং সিধু। পরে পরিস্থিতি হাতাহাতিতে পৌঁছালে সিধু ওই ব্যক্তির মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় গুরনামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান। তখনই সিধুর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়। সেই মামলাতেই সিধুর জেল হয়েছে।