উত্তরপূর্ব ভারতের হৃদরোগীদের আরও সচেতন থাকতে ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিলেন স্বাগত হসপিটাল গুয়াহাটির চিফ ইন্টারভেনশনাল কার্ডিয়োলজিস্ট ও এইচওডি ডাঃ দীপঙ্কর দাস।ডাঃ দীপঙ্কর দাস অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টির পর স্টেন্ট প্লেসমেন্টের পরবর্তীকালে আর্টারির রি-ন্যারোইংয়ের আশঙ্কা হ্রাস করতে দুইটি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শুরু করেছেন: হাই ডেফিনিশন-ইন্ট্রাভাস্কুলার আল্ট্রাসাউন্ড (এইচডি-আইভিইউএস) ও রোটাব্লেটর রোটেশনাল অ্যাথেরেক্টমি সিস্টেম বা রোব্লেশন (High Definition-Intravascular Ultrasound and Rotablator Rotational Atherectomy System or Rotablation)। তিনি বলেন, আইভিইউএস কোনও করোনারি আর্টারিকে ভিতর থেকে দেখতে সাহায্য করে। এই অভিনব এইচডি ভিউ আমাদের ক্রিটিক্যাল ইনফর্মেশন দিতে পারে যা অন্যান্য রুটিন ইমেজিং মেথডের দ্বারা সম্ভব নয়। করোনারি আর্টারি ইন্টারভেনশনের ক্ষেত্রে আইভিইউএস ব্যবহার করা হয়, যাতে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন কিভাবে ইন্টারভেনশন সম্পাদন করতে হবে এবং কোন ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সমীক্ষায় জানা গেছে, আইভিইউএস-গাইডেড পদ্ধতি বেশিমাত্রায় নির্ভুল এবং ব্যয়সাশ্রয়ী। এইচডি-আইভিইউএস (HD-IVUS) দ্বারা ব্লকেজ চিহ্নিত করা, স্টেন্টের সঠিক আকার জানা এবং সঠিক প্লেসমেন্ট নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়। এরফলে স্টেন্টিং-পরবর্তী রোগীর ভবিষ্যতের ঝুঁকি কমানো যায়।
ডাঃ দীপঙ্কর দাস আইভিইউএস ছাড়াও রোটাব্লেশন করে থাকেন। এটি হল আরেকটি হাইলি-অ্যাডভান্সড টেকনোলজি, যেখানে ক্যালসিফায়েড ব্লকেজ ভাঙ্গার জন্য ১.২৫এমএম থেকে ২.৫এমএম সাইজের ডায়মন্ড ড্রিল ব্যবহৃত হয়, যেসব জায়গার মধ্য দিয়ে আগেকার মতো বেলুন বা স্টেন্ট প্রবেশ করতে পারেনা। এইচডি-আইভিইউএস’এর গুরুত্ব প্রসঙ্গে ডাঃ দীপঙ্কর দাস জানান, এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে ব্লকেজের চরিত্র বোঝা যায় এবং চিকিৎসাপদ্ধতি ও স্টেন্টের সাইজ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহারের পরবর্তীকালে রোগীর কোনও জটিলতা ও স্টেন্ট থ্রম্বসিস হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।