গুজরাট ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানির নেতৃত্ত্বে সীমা দর্শন প্রকল্পের অধীনে নাদাবেটে আন্তর্জাতিক সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বর্ডার ট্যুরিজমের সূচনা করেছে। এরফলে দেশের মানুষ সীমান্ত দেখতে ও বর্ডার ট্যুরিজমের অভিজ্ঞতা পেতে সমর্থ হচ্ছেন। সীমান্তে এসে পর্যটকরা জানতে পারছেন বিএসএফ জওয়ানরা কীভাবে দেশরক্ষার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন এবং তারা কীভাবে জীবনযাপন করেন।
পর্যটকদের জন্য গুজরাট ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্টের তরফে নাদাবেটে নানারকম আকর্ষণীয় ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। দেশরক্ষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন সেই বীর সৈনিকদের স্মৃতিরক্ষার্থে গড়া হয়েছে ‘অজয় প্রহরী’ মেমোরিয়াল। সীমা দর্শনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ৩০ ফুট উচ্চতার টি-জংশন। এছাড়া রয়েছে সামরিক অস্ত্রসম্ভারের প্রদর্শনী। পর্যটকরা এখানে এলে জানতে পারবেন সামরিক বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা কীভাবে দেশরক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকেন। জিরো পয়েন্টের কাছেই নাদেশ্বরী মাতা মন্দির। সেখানে একটি রেস্ট হাউস গড়া হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে বানসকন্ঠ জেলায় অবস্থিত নাদাবেটের নিকটবর্তী অম্বা মাতা মন্দির, জেসর বিয়ার স্যাংচুয়ারি, বলরাম প্যালেস ও বলরাম মহাদেব মন্দির দেখতে যেতে আগ্রহী হবেন পর্যটকরা। পাশের পাটান জেলায় ‘রাণি কি ভাও’ ও ‘পাটোলা হাউস’ পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান ।
রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনস্থলগুলির উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছে গুজরাট ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট। ভাদনগর, মোধেরা ও পাটানকে হেরিটেজ সার্কিটের অন্তর্ভুক্ত করা ছাড়াও মোধেরা সূর্য মন্দিরকে স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।