নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বড় দাবি বিচারপতির

রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই ২০১৬ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে৷ গত মাসে কলকাতা হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানান কয়েক জন পরীক্ষার্থী৷ এই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, হলফনামা দেখেই বোঝা যাচ্ছে ২০১৬-র প্রাথমিকে অ্যাপটিটিউট টেস্ট নেওয়া হয়নি৷

এই নিয়ে যে নথি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে তাতে এটা স্পষ্ট৷ তিন চারটে প্রশ্ন করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হাওড়া, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদের ক্ষেত্রে তালিকা খুলে দেখা হয়েছে। এই জেলাগুলির ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউট টেস্ট সম্পর্কে জানতে ২১ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টোয় তাদের আদালতে আসতে হবে। দূরের জেলাগুলির ক্ষেত্রে ২০০০ ও কাছের জেলাগুলির জন্য ৫০০ টাকা করে দেবে পর্ষদ। উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলায় ওই শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর না থাকায় জেলা স্কুল পরিদর্শকরা এই রায় ওই শিক্ষকদের জানিয়ে দেবেন৷

এই মামার শুনানির পর প্রতি জেলা থেকে অন্তত ১০ জন করে শিক্ষককে ডেকে পাঠিয়েছে আদালত। যাঁরা ২০১৬ সালে ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউট টেস্ট নিয়েছিলেন। তাদের ডেকে কি পরীক্ষা নিয়েছেন সেই ব্যাপারে জানতে চাইল আদালত৷ প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউয়ের অংশ হিসেবে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়ে থাকে। নিয়ম অনুযায়ী এটি নেওয়া বাধ্যতামূলক। অভিযোগ, এই পদ্ধতি বাদ দিয়েই শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *