বিগত বেশ কিছুটা সময় ধরে বাড়তে বাড়তে সবার শিখরে পৌঁছেছে তার ধনসম্পত্তি। এই মুহূর্তে তিনি আম্বানি কিংবা রতন টাটার মত শিল্পপতিদের ছাপিয়ে দেশের তো বটেই বিশ্বের অন্যতম সেরা শিল্পপতি। ধনসম্পত্তির দিক থেকে দিন কয়েক আগেই তিনি টপকে গিয়েছেন বিল গেটসকে।
বিগত কয়েক বছরে ভারতীয় বাণিজ্যে তাঁর প্রভাব প্রতিপত্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তাই বিশ্বের সেরা ধনী ব্যক্তিদের তালিকার একেবারে প্রথম সারিতে থাকা গৌতম আদানিকে এবার বিশেষ গুরুত্ব দিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁকে দেওয়া হল জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা।
জানা গিয়েছে এখন থেকে সিআরপিএফ কমান্ডোর একটি বিশেষ দল শিল্পপতি এবং তাঁর বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। দেশ তথা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই ধনকুবেরের নিরাপত্তাতে এরপর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি মাসে প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে।
জানা যাচ্ছে বুধবার থেকেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সিআরপিএফের ভিআইপি নিরাপত্তা শাখাকে আদানির নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে হঠাৎ এ কেন আদানিকে এত গুরুত্ব?
জানা গিয়েছে সম্প্রতি তদন্তকারী গোয়েন্দারা দেশের কোন কোন ভিআইপির উপর হামলা হতে পারে সেই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি তালিকা প্রস্তুত করেছেন। সেই তালিকার একেবারে শীর্ষে নাম রয়েছে আদানির। সেই কারণেই বুধবার থেকেই আদানি নিরাপত্তায় কার্যকর হল বিশেষ এই জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা।
উল্লেখ্য এর আগে ২০১৩ সালের রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানিকেও জেট ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছিল কেন্দ্র। তবে শুধু মুকেশ নয়, মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানিকেও ওই একই নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল আদানির নাম।
প্রসঙ্গত ২০২১ এবং ২২ সালের মধ্যে আদানি গোষ্ঠীর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে প্রায় আকাশ ছোঁয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে আদানি গ্রুপের মালিকের মোট ৯০ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সম্পত্তির নিরিখে তিনি বহু আগেই আম্বানিকে পিছনে ফেলেছেন তিনি।
বর্তমানে তিনি বিল গেটস, টেসলা কর্তা এলন মাস্কের মতো বিশ্বের অন্যতম ধনী শিল্পপতিদের রীতিমতো ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছেন। চলতি বছরের শুরুতেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কয়লা আমদানিকারকের বরাত পেয়েছে আদানি গ্রুপ। আর তাতেই তাঁর সম্পত্তির গ্রাফ রাতারাতি আকাশ ছুঁয়েছে।