এগ্রিকালচার ওয়ার্কিং গ্রুপের দ্বিতীয় বৈঠক বুধবার থেকে আরম্ভ হয়েছে চন্ডীগড়ে। ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সি চলাকালীন তিনদিনের এই বৈঠকের প্রথম দিন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ আন্তর্জাতিক স্তরে ফুড মার্কেটের উন্নয়ন বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।
বৈঠকের ছয়টি অধিবেশনে ‘ফুড মার্কেট সিচুয়েশন’ ও ‘এগ্রিকালচার মার্কেট ইনফর্মেশন সিস্টেম’ বিষয়ে একটি ‘র্যাপিড রেসপন্স প্লাটফর্ম’ গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সেইসঙ্গে, এগ্রিকালচার সেক্টরের জন্য ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’-এর প্রয়োজনীয়তা ও ‘ইম্প্যাক্ট অব ফিনান্সিয়াল ফ্যাক্টর্স ইন ইম্পোর্টস’ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। উন্নয়নশীল ও ‘রিসোর্স-পুয়োর’ দেশগুলির খাদ্যসমস্যা সমাধানে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
এই বৈঠকের মুখ্য উদ্দেশ্য হল জি২০ সদস্য দেশগুলিকে একটি মঞ্চে একত্রিত করা যাতে তারা কৃষি ও খাদ্য-সুরক্ষা বিষয়ে এক সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। দ্বিতীয় বৈঠকের আলোচ্য বিষয় হল কৃষিসংক্রান্ত চারটি গুরুত্বপূর্ণ দিক: ‘ফুড সিকিওরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন’, ‘সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার উইথ স্মার্ট অ্যাপ্রোচ টুওয়ার্ডস ক্লাইমেট’, ‘ইনক্লুসিভ এগ্রিকালচার ভ্যাল্যু চেইন অ্যান্ড ডিজিটাইজেশন ফর ফুড সিস্টেম’ ও ‘এগ্রিকালচার ট্রান্সফর্মেশন’। এগ্রিকালচার ওয়ার্কিং গ্রুপের দ্বিতীয় বৈঠকে যোগ দিচ্ছে ১৯টি সদস্য দেশ, ১০টি আমন্ত্রিত দেশ এবং ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ। বৈঠকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের আলোচ্যসূচীতে ‘ফুড সিকিওরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন’ সংক্রান্ত বিবিধ বিষয় স্থান পাচ্ছে।