আরো খারাপ পরিস্থিতিতে পরিণত হচ্ছে যুদ্ধ। ইউক্রেন জুড়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি৷ বাঁধ ভাঙা স্রোতের মতো ইউক্রেনে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনা৷ এরই মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জল্পনা উস্কে দিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভ৷ তিনি বলেন, যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়, তাহলে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হবেই।
সেরগেই ল্যাভরভের দাবি, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া৷ পালটা জবাব দিতে কিয়েভ যদি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে তার ফল হবে ভয়ঙ্কর৷ সেক্ষেত্রে ইউক্রেনই ‘প্রকৃত বিপদ’ ডেকে আনবে৷ উল্লেখ্য, এর আগেও পারমাণবিক অস্ত্রের ভয়াবহ পরিণতির সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। হিরাশিমা, নাগাসাকির ভয়ঙ্কর স্মৃতি আজও টাটকা৷ সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে বিভিন্ন দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক স্তরে চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে।
কিন্তু এর পরেও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা কিন্তু পরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ কারণ যে সকল দেশ মুখে পারমাণবিক অস্ত্র বর্জনের কথা বলে, তাদের সকলের অস্ত্র ভাণ্ডারেই মজুত রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র৷ আর চিন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া মতো দেশগুলি পারমাণবিরক অস্ত্র প্রয়োগের আগে কোনও চুক্তিরই পরোয়া করবে না৷ বিশ্বের বাকি দেশগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রয়োজনীয়তাও তারা মনে করে না৷ আন্তর্জাতিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সিদ্ধান্ত নেন নিজেদের ইচ্ছাতেই৷
এই অবস্থায় ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার এই আগ্রাসন দেখে প্রমাদ গুণছেন যুদ্ধ বিশারদরা। তাঁদের একাংশের দাবি, আলোচনার টেবিলে ইউক্রেন-রাশিয়া সমস্যার সমাধান খুঁজে না পেলে পরিস্থিতি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত গড়াতে পারে। তবে তৃতীয় যুদ্ধ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে যে ভাবে এই যুদ্ধের সঙ্গে বিশ্বের ‘সুপার পাওয়ার’রা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে, তা দেখে অনেকেই অনভিপ্রেত ঘটনার আশঙ্কা করছেন৷ সেক্ষেত্রে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারও অস্বাভাবিক হবে না৷
এর আগে, রাশিয়ার অন্যতম সহযোগী বেলারুশ প্রকাশ্যে হুঙ্কার দিয়ে বলেছিল, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পশ্চিমের কোনও দেশ তাদের উপর হামলা চালালে ফল ভালো হবে না! প্রয়োজনে শত্রুদের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারেও তারা পিছপা হবে না৷