রাজ্য জুড়ে এক বেশামাল পরিস্থিতির অবস্থা। জলের তলায় রয়েছে রাজ্য়ের একাধিক এলাকা। উদ্বেগের পারদ চড়ছে ধীরে ধীরে। তৈরী হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ইতিমধ্যে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে প্লাবনে, সব মিলিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৩ জন। ঘরছাড়া প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার, শুধু একদিনের রেকর্ড বৃষ্টিই ভেঙে দিয়েছে বহু বছরের রেকর্ড। প্লাবনের এমন ভয়াবহ রূপ আগে কখনও দেখেননি বলেই জানাচ্ছেন বন্যাবিধ্বস্ত এলাকার বর্ষীয়ান বাসিন্দারা। চার, পাঁচ দিন কেটে গেলেও কোনও কোনও জায়গায় এখনও জল জমা রয়েছে। ডুবেছে চাষের জমি। ভেসেছে বাড়ি-ঘর, সহায় সম্বল। পাশাপাশি চাষেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এবার বাংলার বন্যায় মৃতদের পরিজনেদের সমবেদনা জানিয়ে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বন্যায় মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি, আহতেরা ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাবেন। বুধবারই অন্যদিকে সেখানকার সমস্ত পরিস্থিতি পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ভরসা জোগাবেন মমতা। প্রায় এক লক্ষ ত্রিপল, হাজার মেট্রিক টন চাল, কয়েক হাজার জলের পাউচ এবং পরিস্কার জামাকাপড় আশ্রয় শিবিরগুলোত সরবরাহ করা হয়েছে।