আপেল কুল চাষ করে লাভের মুখ দেখছে নদীয়ার চাষীরা

দুয়ারে সরস্বতী পুজো। বিদ্যার দেবীর আরাধনায় সবচাইতে উল্লেখযোগ্য ফল হচ্ছে কুল। গাছে লাল রঙের টসটসা আপেলের মতো দেখতে কুল দেখেও ছাত্রছাত্রীরা মুখ ঘুরিয়ে নেয়। সরস্বতী পুজো না হলে কুল খাওয়া যাবেনা। এটাই ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাচীন নিয়ম। আগেকার দিনে কুল মানে বাড়ির দেশী কুল যা কিনা কাঁচা অবস্থায় খেতে টক আর পাকলে মিষ্টি। আর সরস্বতী পুজোতে চাহিদা ছিল নারকেল কুলের। বর্তমানে অবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন ফল ও ফুলেরও পরিবর্তন হয়েছে।শীতকালের মরশুমে বিশেষ করে সরস্বতী পুজোয় আপেল কুলের চাহিদা থাকে অনেকটাই বেশি। তবে বর্তমানে দেশি এবং নারকেল কুলের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে একাধিক বিভিন্ন জাতের কুলের। ঠিক তেমনি নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে বর্তমানে ব্যাপক পরিমাণে চাষ করা হচ্ছে আপেলের মতোই দেখতে আপেল কুলের।

এই কুল বেশ খানিকটা বড়ো হওয়ার পর লাল বর্ণ ধারণ করে। এরপরেই সেটি দেখতে অনেকটা হয়ে যায় আপেলের মতো, তবে আপেলের থেকে তুলনামূলক ভাবে সাইজে ছোট হয়। তবে খেতে কিন্তু আপেলের থেকে নেহাত কম স্বাদ নয়। সেই কারণে চলতি ভাষায় চাষীরা একে আপেল কুল বলে থাকেন। এই কুলের চাহিদা বর্তমানে বেড়েই চলেছে ধীরে ধীরে। সেই কারণেই টক মিষ্টি দেশী কুলকে পেছনে ফেলে বাজারে ছেয়ে গেছে আপেল কুলে। আর তাই চাষীদের মধ্যেও কুল চাষের প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ বিঘা জমিতে বর্তমানে এই আপেল কুল চাষ করা হয়ে থাকে। আর এই আপেল কুল চাষ করে লাভের মুখ দেখছে নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তের চাষীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *