বড় ঘোষণা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। এবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে কাজের অতিরিক্ত বেতনের কারচুপি। আর্থিক সংকট থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে এই নয়া নিয়ম জারি হলো। অফিসার ও কর্মীদের ‘ওভারটাইম-ইনসেনটিভ’ বন্ধ হচ্ছে কলকাতা পুরসভায়। শুধু তাই নয়, অবসরের পরেও যে সমস্ত অফিসার বা কর্মীর ‘অপরিহার্য’র অজুহাতে দীর্ঘদিন ধরে মোটা টাকা বেতন নিচ্ছেন তাঁদের অধিকাংশকে ‘বিদায়’ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে পুরভবনে। বস্তুত এই কারণে পুর কমিশনারকে ‘প্রাইস ওয়াটার’ ধাঁচের আন্তর্জাতিক পরামর্শদাতা সংস্থাকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য প্রশাসক ও পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ওই সংস্থা পুরসভার সমস্ত বিভাগের অফিসার ও কর্মীদের এইচআরএ সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি সংগ্রহ করবে। পরবর্তী আর্থিক বছর শুরুর আগেই কোন বিভাগে কত অতিরিক্ত অফিসার ও কর্মী আছেন তা যেমন চিহ্নিত করবে, তেমনই কেন পুরসভা ‘ওভারটাইম-ইনসেনটিভ’ দিতে বাধ্য হচ্ছে তাও জানিয়ে দেবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কলকাতা পুরসভায় স্থায়ী ২০ হাজার ও চুক্তিভিত্তিক কর্মী সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। মাত্র তিনদিন আগেই ১৬১ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ করার পাশাপাশি বেশ কয়েক মাস ধরে পুরসভার ঠিকাদারদের পাওনা মেটাতে পারছেন না পুরকর্তারা। কিন্তু করোনাকালে মাত্র ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ অফিসার ও কর্মী নিয়ে পুরসভার পরিষেবা দিয়ে দেখা গিয়েছে, নানা বিভাগে অতিরিক্ত অফিসার ও কর্মী রয়েছেন। আবার অনেক দফতরে চাহিদার তুলনায় মাত্র ২০/২৫ শতাংশ কর্মী আছেন। পুরসভার এক শীর্ষকর্তার শুধু অফিস সামলাতে জনা ২৫ কর্মী, অথচ একই পদমর্যাদার অন্য অফিসারের ঘরে মাত্র ৪জন ডিউটি করেন।