চা পাতায় কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি ডুয়ার্স চায়ের রফতানির বেশ কয়েকটি দরজা বন্ধ করেছে

কীটনাশক সমস্যার মোকাবিলায় মুশকিল আসান ‘যন্ত্র’ পেতে চলেছে ডুয়ার্সের চা বলয়। চলতি মরসুমে পাতা তোলার শেষ দিন, আগামিকাল ডুয়ার্স চায়ের সার্ধ শতবর্ষ উদ্‌যাপনে আত্মপ্রকাশ হবে এই যন্ত্রেরও। ছোট্ট একটি যন্ত্রের সাহায্যে জানা যাবে চা পাতার মধ্যে কীটনাশকের পরিমাণ কতটা রয়েছে।

দেশীয় বাজারেও কীটনাশকের কারণে চায়ের চাহিদা কমেছে। এই পরিস্থিতিতে ‘স্মল ওয়ান্ডার’ নামে এই যন্ত্রটি গাছের পাতা পরীক্ষা করেই কীটনাশকের উপস্থিতির মাত্রা বাতলে দেবে বলে দাবি। তার ফলে, ইচ্ছে মতো গাছে কীটনাশকের প্রয়োগের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে দাবি। তার জেরে, তৈরি চায়েও কীটনাশকের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামিকাল, ৩০ নভেম্বর লাটাগুড়ির একটি হোটেলে দেশের বিভিন্ন চা উৎপাদক থেকে শুরু করে বিপণন সংস্থার প্রতিনিধিদের সামনে এই যন্ত্রের কাজ হাতেকলমে পরীক্ষা করা হবে।

৩০ নভেম্বর ডুয়ার্স চায়ের দেড়শো বছর পূর্তি উৎসবের মূল আয়োজক ছোট চা চাষিরাই। ১৮৭৪ সালে অবিভক্ত জলপাইগুড়ির গজলডোবায় প্রথম বাণিজ্যিক চা চাষ শুরু হয়েছিল। ডুয়ার্স চায়ের নিজস্ব পরিচিতির লোগো রয়েছে। যদিও এই উৎসবের আয়োজন করে চা উৎপাদকদের আক্ষেপ, ডুয়ার্স চায়ের চাহিদা থাকলেও, দেশের বাজারে নিজস্ব পরিচিতি পায়নি।