করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ভুগছে ইউরোপ

করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে বিশ্বের মানুষকে। গত দুই বছর করোনার দাপটে নাস্তানাবুদ হয়েছে গোটা বিশ্ব৷ গত ৬ সপ্তাহ যাবৎ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমিতের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে করোনায় মৃতের সংখ্যাও। হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত রোগী ভর্তির সংখ্যাও বাড়ছে সমানতালে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, কোভিডবিধি শিথিল করা এবং প্রয়োজনীয় বুস্টার ডোজ না দেওয়ার ফলে ইউরোপের নানা দেশে উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ২০২০ সাল থেকে সারা পৃথিবী করোনা আতঙ্কে ভুগছে। করোনা কবে দুনিয়া থেকে বিদায় নেবে সেব্যাপারে এখনও নির্দিষ্টভাবে কিছুই বলতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে ইউরোপের পরিস্থিতি ফের খারাপ হতে শুরু করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, গত ৬ সপ্তাহ যাবৎ ইউরোপে ক্রমাগত বাড়ছে করোনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গোটা ইউরোপে গত ৬ সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ তিনগুণ বেড়েছে। সারা পৃথিবীতে মোট যত সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত তাদের ভিতর অর্ধেক সংখ্যক মানুষই ইউরোপের নানা দেশের নাগরিক।

করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্ত হলেও সারা পৃথিবীজুড়েই কোভিডবিধি মানার ক্ষেত্রে নাগরিকদের মধ্যে উদাসীনতা দেখা দিয়েছে। ইউরোপও এর ব্যতিক্রম নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানিয়েছে, ইউরোপজুড়ে ক্রমাগতভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। গত সপ্তাহেই নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন মোট ৩০ লক্ষ মানুষ। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে নতুন করে মৃত্যু হচ্ছে অন্তত ৩ হাজার মানুষের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তির হার একইসঙ্গে উত্তরোত্তরভাবে বাড়ছে। এর জেরে স্বাস্থ্যকর্মীদের নাওয়া – খাওয়া ফের শিকেয় উঠেছে। তবে হাসপাতালগুলোর ইনটেনসিভ বিভাগে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা তুলনায় কম বলে জানা গিয়েছে। ইউরোপজুড়ে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়ার পরে দুটি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

ইউরোপের যে দেশগুলিতে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে করোনা সংক্রমণ সেই দেশগুলির তালিকায় ওপরের দিকে নাম রয়েছে পর্তুগাল, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডসের মতো বিভিন্ন দেশ। কেন ফের ইউরোপে করোনা সংক্রমণ ফের নতুন করে ছড়াচ্ছে?  এব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কোভিডবিধি সংক্রান্ত নিয়মগুলি ব্যাপক শিথিল করা হয়েছে। এছাড়া বুস্টার ডোজ দেওয়ার হারও অনেক কম। এই শৈথিল্যগুলি কোন পথে মোকাবিলা করবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকার এখন সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *