এদেশে ১০ মিলিয়ন মানুষের জীবিকা জড়িত রয়েছে ইভেন্ট ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্র মিলিয়ে এমআইসিই (মিটিংস-ইন্টেন্সিভস-কনভেনশন-একজিবিশন) এক ৫০০,০০০-কোটি টাকার মার্কেট এবং তা বর্তমান কোভিড-১৯ জনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এইজন্য, ইন্ডাস্ট্রি পার্টনার ও স্টেকহোল্ডারদের আহ্বান জানিয়ে ইইএমএ একটি ওপেন ওয়েবিনারের আয়োজন করেছিল। সেইসঙ্গে প্রকাশ করেছে ইইএমএ’র ‘রিওপেনিং গাইডলাইনস’, যার লক্ষ্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান – কয়েকমাস বসে থাকলেও লাইভ সেক্টর ফের নিরাপদে খুলতে পারে। ইইএমএ’র প্রেসিডেন্ট রোশন আব্বাস তার উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, আনলক-৪.০ চালু করার পর সরকার অনেক ইন্ডাস্ট্রিকে তাদের কাজকর্ম ফের শুরু করার অনুমতি দিলেও ইভেন্টস ইন্ডাস্ট্রি এখনও অনুমতি পায়নি। ওয়েবিনারে ১০০০-এরও বেশি ইন্ডাস্ট্রি স্টেকহোল্ডার অংশ নিয়েছিলেন। ২-ঘন্টার অধিবেশনে প্রত্যেকে এসওপি গ্রহণ করেন ও প্রশংসা করেন। মহারাষ্ট্র সরকারের পর্যটন ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি শ্রীমতী ভালসা সিং নায়ার এসওপি ডকুমেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন। বিভিন্ন সোস্যাল প্লাটফর্মে ইন্ডাস্ট্রির ১২,০০০-এরও বেশি মানুষ ওয়েবিনারে যোগ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে ইইএমএ একটি ডিজিটাল ক্যাম্পেন শুরু করেছে – ‘ওপেন সেফ ইভেন্টস টু সেভ ইভেন্টস’, যার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলকে এই মুভমেন্টে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান হয়েছে যাতে ইভেন্ট ইন্ডাস্ট্রি আবার চালু করার জন্য সম্মিলিত আওয়াজ ওঠে।