সমস্ত সম্পত্তির খতিয়ান করতে তৎপরতা বাড়াচ্ছে ইডি

এই মুহূর্তে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় প্রকাশ্যে এসছে বড়ো তথ্য৷ গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ‘বান্ধবী’ গ্রেফতার হওয়া নিয়ে যত না চর্চা, তার থেকেও বেশি চর্চা উদ্ধার হওয়া প্রায় ২২ কোটি টাকা নিয়ে।

বাংলা সহ গোটা দেশ এখন এই অর্থ নিয়ে আলোচনা করছে। বিপুল এই টাকার ছবি দেখে অনেকেই প্রথমে ভাবতে পারেনি যে এটি আসল! এক জায়গায় এত টাকা দেখে স্বাভাবিকভাবেই সকলে চমকে গিয়েছিল। কিন্তু ইডি যা অনুমান করছে তাতে চমকের আরও বাকি আছে। কারণ আধিকারিকদের ধারণা, আরও প্রায় ১০০ কোটি টাকা খুঁজে পাওয়া যায়নি এখনও!

সেই টাকা খুঁজতেই তোড়জোড় শুরু করেছে ইডি। আদালতে ইডির আইনজীবী জানিয়েছেন, এসএসসি কাণ্ড বিপুল অর্থের লেনদেন হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া ২২ কোটি টাকা সেটার অংশ মাত্র। ধারণা অনুযায়ী আরও ১০০ কোটি টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এখনও। সেই ১০০ কোটি টাকা কোথায় রয়েছে তা জানতেই তৎপরতা বাড়িয়েছে ইডি।

অনেক আগে থেকেই অভিযোগ উঠেছিল যে চাকরি দুর্নীতিতে মাথা পিছু ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে এইভাবে টাকার লেনদেন হলে ২২ কোটি টাকা যে একেবারে নস্যি তা বলাই বাহুল্য। সেই ধারণা নিয়েও তদন্ত আরও গতি বাড়াচ্ছে ইডি আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে শুরু ২২ কোটি টাকাই উদ্ধার হয়নি, উদ্ধার হয়েছে ৭৯ লক্ষ টাকার সোনার গয়না, ৫৪ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রা, ২০ টি মোবাইল ফোন।

ইডি আরও দাবি করেছে, দশ বছর ধরে ‘সম্পর্ক’ পার্থ এবং অর্পিতার। কারণ ২০১২ সাল থেকেই যৌথভাবে বহু সম্পত্তির মালিক তারা। এক্ষেত্রে ইডি আধিকারিকদের মন্তব্য, কারো সাথে ঘনিষ্ঠ এবং অত্যন্ত সুসম্পর্ক না থাকলে একসঙ্গে যৌথ সম্পত্তি কেউ কিনতে পারেন না। শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে শান্তিনিকেতনের তিনটি বাড়ির ও খোঁজ মিলেছে, যার মধ্যে আবার একটির নাম ‘অপা’। অনেকেরই মত অর্পিতা এবং পার্থের নামের আদ্যাক্ষর মিলিয়েই ওই বাড়ির নামকরণ হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *