ধীরে ধীরে সক্রিয় হচ্ছে ডি কোম্পানি

ধীরে ধীরে আবার সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে তাদের। মুম্বইতে নতুন করে সক্রিয় হতে শুরু করেছেদাউদ চক্র! সম্প্রতি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার একাধিক জায়গায় তল্লাশিতে নতুন করে সেই আশঙ্কা জাগিয়ে তুলছে। মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ ইব্রাহিম ও ডি কোম্পনির সঙ্গে যুক্ত একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালালো এনআইএ। মুম্বইয়ের প্রায় ২০ টি জায়গায় এনআইএ তল্লাশি চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

জানা গিয়েছে, এনআইএ নাগপাড়া, সান্তাক্রুজ, মামব্রা সহ মুম্বইয়ের ২০টি জায়গায় তল্লাশি চালায়। জানা যাচ্ছে ডি কম্পানি বহুদিন ধরেই ড্রাগ পেডলার, রিয়েল এস্টেট ম্যানেজার, হাওয়াওয়ালার মাধ্যমে টাকা লেনদেন করত। এনআইএ বহুদিন ধরেই এই বিষয়টি নজরে রেখেছিল। অবশেষে সোমবার তল্লাশি অভিযান শুরু করে। প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসেই ডি কোম্পানির বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে মামলা রজু করে এনআইএ। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এই মামলা রজু করা হয়। সেই মামলায় দাউদ ইব্রাহিম ও তাঁর সঙ্গীদের নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

ভারত সরকারের পাশাপাশি আমেরিকা দাউদ ইব্রাহিমকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তকমা দিয়েছে। তারপরেও এতদিন এনআইএয়ের হাতে দাউদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট কোনও মামলা ছিল না। এক সময় মুম্বইয়ের ত্রাস ছিলেন দাউদ ইব্রাহিম। মুম্বই বিস্ফোরণের মূলচক্রী ছিলেন দাউদ। বর্তমানে তিনি পাকিস্তানের করাচিতে লুকিয়ে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দাউদ ইব্রাহিমের পাশাপাশি ছোটা শাকিল, জাভেদ চিকনা, টাইগার মেনন, ইকবাল মির্চির বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। এই সম্পর্কিত মামলায় ইডি চলতি মাসে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকে গ্রেফতার করেছেন। 

১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মাথা ছিল দাউদ ইব্রাহিম। ২০০৩ সালে ভারতের পাশাপাশি মার্কিন সরকার দাউদ ইব্রাহিমকে আন্তর্জাতিক আতঙ্কবাদী তকমা দেয়। দাউদ ইব্রাহিমের মূল্য ২.৫ কোটি মার্কিন ডলার ধার্য করা হয়েছে। অন্য দিকে, পাক সরকার দাউদ ইব্রাহিম সহ ৮৭ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *