সম্পন্ন হয়েছে দেশের মধ্যে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ হয়েছে কংগ্রেস। চারটি রাজ্যে দাপটের সঙ্গে জয় পাচ্ছে বিজেপি এবং একটি রাজ্য দারুণ ফল করার দোরগোড়ায় আম আদমি পার্টি। কিন্তু কংগ্রেস ধারে কাছে কোথাও নেই। এই পরিস্থিতিতে কারচুপির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তারা। ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলে দিল্লির রাস্তায় কংগ্রেস প্রতিবাদ জানিয়েছে। এদিকে কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও।
শেষ তথ্য বলছে, উত্তরপ্রদেশে ২৭৪ আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি এবং সমাজবাদী পার্টি এগিয়ে ১২০ আসনে। কারোর কাছাকাছি নেই কংগ্রেস। গোয়া, উত্তরাখণ্ড এবং মণিপুরেও ধরাশায়ী কংগ্রেস শিবির। সেই রাজ্যগুলিতেও বিপুল আসনে এগিয়ে বিজেপি। পঞ্জাবে অপ্রত্যাশিতভাবে সরকার গড়ার পথে আম আদমি পার্টি। এগিয়ে রয়েছে ৯১ আসনে। উত্তরপ্রদেশে সবথেকে বেশি ধরাশায়ী কংগ্রেস। ৫ আসনের গণ্ডিও পেরতে পারেনি তারা। এই প্রসঙ্গে বাংলার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, কংগ্রেসের উচিত তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যাওয়া। জাতীয় নিরিখে যেভাবে ভরাডুবি হচ্ছে তারা তা লজ্জাজনক।
গোয়াতে কংগ্রেস সরকার গড়ার ব্যাপারে ভেবেছিল কিন্তু সেটাও এখন কার্যত অসম্ভবের দিকেই যাচ্ছে। বিজেপি তো বটেই তৃণমূলও তাদের কটাক্ষ করতে ছাড়ে না। এখনও পর্যন্ত দিল্লি দখলের পথে বিজেপি বিরোধী প্রধান দল হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম উঠে আসছিল৷ নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প মুখ হিসাবে উচ্চারিত হচ্ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম৷ কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গোয়ায় খাতাই খুলতে পারল না তৃণমূল কংগ্রেস৷ তবে তৃণমূলের জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি এগিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি আসনে৷ কংগ্রেসকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।