গত বছরের শুরুতে চীনে প্রথম উৎপত্তি হয় করোনা সংক্রমণের, তারপর ধীরে ধীরে ছড়িয়ে গিয়ে মহামারির রূপ নেয় এই সংক্রমণ। এরপর আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা… এখন ওমিক্রন। করোনা ভাইরাস নয়া প্রজাতিদের নিয়ে আতঙ্কের কোনও শেষ নেই। একের পর এক প্রজাতির কারণে মানুষের চিন্তা বাড়ছে। এখন ডেল্টা এবং ওমিক্রন নিয়ে বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের চর্চা। এরই মধ্যেই আবার জল্পনা বৃদ্ধি হয়েছে যে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নয়া প্রজাতি ‘ডেলমিক্রন’। এই নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য চিকিৎসক শশাঙ্ক জোশীর মন্তব্যের পর। কী বলেছেন তিনি?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ইউরোপের কোনও দেশের কোনও বিজ্ঞানী এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে মন্তব্য না করলেও চিকিৎসক শশাঙ্ক জোশী জানাচ্ছেন, ডেলমিক্রন নাকি এখন ইউরোপ ও আমেরিকায় ছোটখাটো সুনামি এনেছে। এটিই করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি। এর কারণে আগামী দিনে বড় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হতে চলেছে। তাঁর কথায়, ডেল্টা এবং ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিন মিশে গিয়ে এই নয়া প্রজাতি সৃষ্টি হয়েছে যা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।
যদিও, আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলও এখনও এই নিয়ে মুখ খোলেনি। এদিকে, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ও এই নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি। তাই এটি আদৌ করোনার নয়া রূপ কিনা তা নিয়ে আলাদা প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে বলছেন, চিকিৎসক জোশী হয়তো ডেল্টা এবং ওমিক্রনের যৌথ সংক্রমণের কথা বলতে চেয়ে এমন কথা বলেছেন। তাকেই তিনি ‘ডেলমিক্রন’ বলছেন।
উল্লেখ্য, ওমিক্রন ডেল্টার চেয়েও বেশি সংক্রামক বলে অনেক আগেই সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷ তবে এর মারণ ক্ষমতা অনেকটাই কম বলে আপাতত দাবি করা হয়েছে৷ ওমিক্রন ভ্যাকসিনকেও ফাঁকি দিতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷ তবে এইমস প্রধানের বক্তব্য, টিকাকরণ এবং করোনাবিধি অনুসরণ করেই ওমিক্রন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস প্রজাতি নিয়ে বিরাট আশঙ্কার কিছু দাবি করা হয়নি।