এইমুহুর্তে সংক্রমণের সংখ্যা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রনে এসছিল সংক্রমণ। চলতি মাসেই বেশ কিছুদিনের স্বস্তির পর ধীরে ধীরে বাড়ছে চিন্তা। বাড়ছে দেশের কোভিড গ্রাফ। আজ তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে। তবে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা কম আজ। একাধিক রাজ্যের পরিসংখ্যানে বদল হলেও সবথেকে বেশি চিন্তা হচ্ছে দিল্লিকে নিয়ে। কারণ রাজধানীতে করোনা গ্রাফ শেষ কয়েক দিন থেকে ঊর্ধ্বমুখী। আবার কোভিড গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় শঙ্কা বাড়ছে। তাহলে কি করোনার চতুর্থ ঢেউ চলে এল? উদ্বেগে রয়েছে দেশের সাধারণ মানুষ।

কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫২৭ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। আবার একদিন সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৬৫৬ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ১৭ হাজার ৭২৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ০৭৯। এদিকে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২২ হাজার ১৪৯ জনের। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৭৫ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮৭ কোটি ৪৬ লক্ষের বেশি ডোজ। কিছুদিন আগে দেশে কোভিড বিধি প্রায় প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং অনেকে রাজ্যে মাস্ক ব্যবহারেও শিথিলতা জারি করা হয়েছে। কিন্তু ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের আশঙ্কায় আবার ধীরে ধীরে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে অনেক রাজ্যে।

দেশের করোনা পরিস্থিতি সার্বিকভাবে নিয়ন্ত্রণে মনে হলেও দিল্লির সংক্রমণ মারাত্মক বৃদ্ধি পেয়েছে বিগত কয়েক দিনে। তাই বিশেষজ্ঞরা ভয় পাচ্ছেন যে আবার না আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ভারতের করোনা কালে প্রথম থেকে সংক্রমণের শীর্ষে ছিল মহারাষ্ট্র। এখন আশঙ্কা, দিল্লি যেন তার জায়গা না নিয়ে নেয় নতুন করে। করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে উদ্বেগ ব্যাপক হারে বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, জুলাই-অগাস্ট নাগাদ আবার বাড়তে পারে সংক্রমণের হার। পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে তা বৃদ্ধি পাবে বলেই অনুমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *