চিন্তা বেড়ে চলছে জোশীমঠ নিয়ে, সরকারের তরফে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

আচমকাই উদ্বেগ ছড়ালো পুরো উত্তরাখণ্ডে। উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ নিয়ে বিরাট আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক বাড়ি এবং রাস্তায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ভেঙে পড়ে জোশীমঠের একটি মন্দির। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছে যে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সেরেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জানা গিয়েছে, সেনা শিবিরের প্রায় ২৫-২৮টি ভবনে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনে সেনাদের অন্যত্র সরানো হবে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।

ভারতীয় সেনা খেয়াল করেছে যে জোশীমঠের বর্তমান অবস্থায় ফায়দা তুলতে সীমান্তে সেনার সংখ্যা বাড়ানোর তাগিদ দেখাচ্ছে চিন। এই সময়ে যদি সীমান্ত সংলগ্ন জোশীমঠ এলাকা থেকে সেনা শিবির বা সেনাদের সরানো হয় তাহলে ঝুঁকি বাড়তে পারে। এদিন যে বৈঠক হয়েছে তার পৌরোহিত্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি, আর.কে সিং, ভূপেন্দ্র যাদব সহ আরও অনেকে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিক, আইআইটি বিশেষজ্ঞরাও এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।

কিছুদিনের মধ্যেই জোশীমঠে ভাঙাভাঙির কাজ শুরু হবে বলে জানান হয়েছে। সম্প্রতি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে তাই ভাঙার কাজও শুরু হবে। ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ঘোষণা করার পর আবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পিছু ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *