অনুব্রতর দেহরক্ষীরসম্পত্তি দেখে চক্ষু চড়ক গাছে সিবিআই-এর

সিবিআই-এর তৎপরতায় তদন্ত চলছে গরু পাচার কাণ্ডে। সম্প্রতি গরুপাচার-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এখন সিবিআই হেফাজতে। তাঁকে নিয়ে প্রথম থেকেই চর্চা শুরু হয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁকে সেইভাবে কেউই চিনত না। শুধু এইটুকু তথ্য ছিল যে সায়গল কাজ করেন রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করার পর সিবিআই একে একে জানতে পারছে অনেক কিছুই। তদন্তে উঠে এসেছে যে, সায়গলের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা! বাড়ি, ফ্ল্যাট, জমি মিলিয়ে শহরের যে কোনও ধনী ব্যক্তিকে টক্কর দিতে পারে সে।

ঠিক কী কী আছে সায়গলের? সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে প্রচুর কিছু। জানা গিয়েছে, নিউ টাউন, বোলপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় ফ্ল্যাট, ২০০ বিঘা জমি রয়েছে তাঁর। এছাড়াও একাধিক পাথর ভাঙার যন্ত্র, পেট্রল পাম্প, একাধিক ডাম্পার আছে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর। সায়গল এবং তাঁর শিক্ষিকা স্ত্রী’র বেতন কাঠামো দেখেছে সিবিআই। দাবি করা হচ্ছে, সেই কাঠামোর সঙ্গে এই বিপুল সম্পত্তি কিছুতেই মেলানো যাচ্ছে না। তাহলে এখন প্রশ্ন, এত বিরাট সম্পত্তির মালিক সে হল কী করে? কাদের সংস্পর্শে এসে, কাদের প্রভাবে সায়গলের এই বাড়বাড়ন্ত তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

এর আগে অবশ্য সিবিআই জানতে পেরেছিল ডোমকলের মালিথাপাড়ায় প্রাসাদের মতো বাড়ি রয়েছে সায়গলের। বাজারপাড়া ও ধুলাউড়িতেও বাড়ি রয়েছে অনুব্রতর দেহরক্ষীর৷ সম্প্রতি তিনি এলাকায় বেশ কিছু জমিও কিনেছেন। যত পরিমাণ জমি কিনেছেন তার দাম ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা হবে৷ এই সব তথ্য সামনে আসার পর অনেকের ভাবছেন, একজন সামান্য রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলের যদি এই পরিমাণ অর্থ-সম্পত্তি থাকে, তাহলে একজন নেতার কত থাকবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *