কেষ্ট ঘনিষ্ঠ মলয়কে সিবিআইয়ের জেরা!

গরুপাচার মামলায় এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয় পিটকে তলব করল সিবিআই। আজ সকাল ১১টায় বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে দাবি, ১২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। যেগুলির মাধ্যমে বিপুল অর্থ নয়ছয় হয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদে মিলেছে তথ্য, দাবি সিবিআই সূত্রে। এই তথ্য সামনে রেখেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। খবর সিবিআই সূত্রে।

প্রসঙ্গত,এর আগে মলয় পীঠের একটি পলিটেকনিক কলেজে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা ৷ সেখান থেকে একাধিক নথিপত্র তাঁরা সংগ্রহ করেছেন । ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন মলয়ের একটি অ্যাকাউন্টে 9 কোটি টাকা জমা পড়েছিল ।

সিবিআই সূত্রের খবর, বিপুল অংকের টাকা মাঝেমধ্যেই মলয় পীঠের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত । সিবিআইয়ের অভিযোগ এই টাকাগুলি গরুপাচারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত । বুধবার আসানসোল আদালতে যখন শুনানি চলছিল সেই সময় সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয় গরুপাচার মামলায় অনুব্রত ‘ঘনিষ্ঠ’ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং বিভিন্ন ট্রাস্ট বা এনজিও সেগুলি তাদের নজরে রয়েছে ।

সিবিআইয়ের অভিযোগ, গরুপাচারের টাকা অনুব্রত মণ্ডল ‘ঘনিষ্ঠ’ এই সকল ব্যবসায়ীর ট্রাস্ট এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিত সায়গেল হোসেন  । আর এই কালো টাকা মূলত সাদা টাকায় পরিণত করার জন্যই এই অ্যাকাউন্টগুলিকে কাজে লাগানো হত । গরুপাচারের টাকাতেই কি একাধিক পলিটেকনিক কলেজের মালিক হয়েছিলেন এই মলয় পীঠ, তা জানার জন্যই বৃহস্পতিবার তাঁকে সকাল 11 টার মধ্যে বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই বলে সূত্রের খবর  ।

উল্লেখ্য, গরুপাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন মলয় পীঠ ৷ এর আগে মলয়ের কলেজেই অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই  ৷ 14 সেপ্টেম্বর বোলপুরে মলয়ের ‘ইনস্টিটিউট অফ পলিটেকনিক কলেজ’-এ পৌঁছে যায় সিবিআই-এর প্রতিনিধিদল ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *