শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় জর্জরিত রাজ্যে৷ চলছে তদন্ত, প্রকাশ্য এসছে একের পর এক তথ্য৷ এই পরিস্থিতিতে এই দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই।
২৬১ জনের চাকরি বরখাস্ত মামলায় এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হল। প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির নিরাপত্তা কর্মী যে ১০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ এবং নদিয়া তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে হলফনামা জমা দেওয়া হল আদালতে।
নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ অজস্র। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই রাজ্যের শাসক দল এবং প্রশাসনের একাধিক জনের নাম জড়িয়ে আছে। মঙ্গলবারই টেট পরীক্ষার ২০২০ সালের নিয়োগ মামলায় ‘কাট অফ মার্কস’ এবং সংরক্ষণ তালিকা চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে এই তালিকা আদালতে জমা দিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি।
এখনও পর্যন্ত এই ইস্যুতে একাধিক জন গ্রেফতারও হয়েছেন। এসএসসি’র প্রাক্তন আধিকারিক থেকে শুরু করে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত ইস্যুতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও গ্রেফতার।
রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও ভুরিভুরি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষীর পরিবারের ১০ জন চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট ওই ১০ চাকরি প্রাপককে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল আগেই।
অভিযোগ, যে সময়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন সেই সময়ে তিনি তাঁর দেহরক্ষী থাকাকালীন নিজের স্ত্রী থেকে শুরু করে দুই ভাই, মাসতুতো ভাই, মাসতুতো বোন, শ্যালক, শ্যালিকা, প্রতিবেশী সকলকে চাকরি দিইয়েছিলেন মন্ত্রীর সাহায্যে। এদের সকলকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশও আছে।