অভিভাবকদের আস্বস্ত করলো ব্রাত্য

এবার আর কোনো বাধা রইল না। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে অবশেষে চলতি মাসেই ১৬ নভেম্বর থেকে খুলছে রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়৷ আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়া হবে৷ কী ভাবে ক্লাস হবে সে সম্পর্কেও নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে৷ কিন্তু করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অনেক অভিভাবকই এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি যে তারা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন কিনা। সেই ব্যাপারে আশ্বস্ত করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বললেন, স্কুলে যাওয়া আবশ্যক নয়। 

স্কুল খোলার পর সংক্রমণ বাড়বে, এই নিয়ে যে চিন্তা দেখা যাচ্ছে অভিভাবক মহলে তা অজানা নয় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। তাই এই ইস্যুতে আলোকপাত করে তিনি স্পষ্ট জানালেন যে, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যই অগ্রাধিকার। অভিভাবকরা চাইলে তবে তাদের সন্তানরা স্কুলে আসবে। স্কুল খোলার পর স্কুলে আসতেই হবে তার কোনও মানে নেই। অর্থাৎ স্কুলে আসা নিয়ে কোনও রকম জোর করতে পারবে না কেউ। ব্রাত্যর কথায়, বাবা-মা চাইলে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারেন, তবে সেটা বাধ্যতামূলক নয়। আসলে আজই স্কুল খোলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলা খারিজ করে দিয়ে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে যে, স্কুল নির্দিষ্ট দিনেই খুলবে।

এদিন শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব মামলাকারীর উদ্দেশে প্রশ্ন তোলেন, ৯-১২ ক্লাসের কোনও ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক আদালতে এলেন না কেন? তাঁরা যদি মনে করতেন তাঁরা অসুবিধার সম্মুখীন হবেন, তাহলে অবশ্যই আদালতের দ্বারস্থ হতেন। আপনি এই মামলা করেছেন কার স্বার্থে? অন্যদিকে, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই আমার প্রশ্ন রয়েছে। গত ২ বছর ধরে রাজ্যের স্কুল কলেজ গুলিতে পাঠপাঠন বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। ছাত্ররা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ এই জনস্বার্থ মামলায় আমি আশ্চর্য৷ তবে, পাল্টা মামলাকারী বলেন, ‘‘আমি স্কুল বন্ধ রাখার পক্ষে নয়। আমি ছাত্রদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *