বিগত বেশ কিছুদিন ধরে পদত্যাগ পর্ব চলছিলো মন্ত্রিসভায়। এবার প্রাক্তন হলেন প্রধানমন্ত্রী। চলছিলো জল্পনা, টালমাটাল অবস্থায় ছিলো প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব পদ। এবার আশঙ্কাই সত্যি হল। দেশের স্বার্থে ও দলীয় সদস্যদের চাপের কাছে হার স্বীকার করে শেষমেশ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন বরিস জনসন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালেই খবর পাওয়া যায়, ব্রিটেন মন্ত্রিসভার ৪০ জন সদস্য একসঙ্গে পদত্যাগ করায় কার্যত কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন জনসন এবং আজই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে চলেছেন।
জানা যাচ্ছে, পদত্যাগ করার পূর্বে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া বার্তায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমার যাবতীয় ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিচ্ছি। আমি এর জন্য রীতিমতো অনুতপ্ত। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার যিনি গ্রহণ করবেন, তার প্রতি আমার তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে বরিশ জনসনের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দল লেবারের নেতা কিয়ার ষ্টারম্যান। এর সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে ব্রিটেন সরকারের সঠিক পরিবর্তন প্রয়োজন। পাশাপাশি জনসন যে পদ আঁকড়ে পড়ে থেকে সংসদে অনাস্থা ভোটের অপেক্ষা করেননি তার জন্যও তিনি বৃটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে বরিস জনসন আরো বলেন, ‘আমি দুঃখিত যে আমাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কাজটি ছেড়ে যেতে হচ্ছে। আমার দেশ থেকে আমার বিরোধীদল সকলেই নতুন প্রধানমন্ত্রী চাইছেন। রাজনীতিতে কেউই দীর্ঘস্থায়ী নয়। আর তাই আমার আজকের এই সিদ্ধান্তই আগামী উজ্জ্বল ভবিষ্যতের শুভ সূচনা করবে।‘ জনসন বলেন, আমি চাই আমার পরবর্তী শাসক নির্ণয় করার কাজ শুরু হোক এবং তাঁকেও আমি একইভাবে সমর্থন করব। আমি দুঃখিত আমি আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারিনি বলে। তবে আমার পরবর্তীতে যিনি আসবেন তাঁর প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’