বিগত এক মাসে প্রায় ৪৩টির ওপর মোহনের মৃত্যু ঘটেছে কোচবিহার আলিপুরদুয়ার রাজ্য সড়কে দাবি মোহন রক্ষা কমিটির। মোহন রক্ষার দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত ৬ ঘন্টার বানেশ্বর বন্ধ পালন করল কোচবিহার মোহন রক্ষা কমিটি। কমিটির কর্ণধার তথা কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি পরিমল বর্মন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ড এবং জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো লাভ হয়নি। ক্রমাগত মোহনের মৃত্যু বেড়ে চলেছে বানেশ্বর এলাকায়। এভাবে চলতে থাকলে বানেশ্বর থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে মোহন। তিনি প্রকাশ্য অভিযোগ করে বলেন দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ড আধিকারিক সহ কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন সম্পর্কে বিশেষ ওয়াকিবহাল নন। সেই কারণেই তারা মোহন রক্ষার ক্ষেত্রে উদাসীন ।তবে এই বিষয়ে জেলা মহকুমা শাসক জানান আমরা মোহন রক্ষার্থে জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছি।এর মধ্যে গত সোমবার তিনটি, শনিবার চারটি এবং রবিবার পাঁচটি মোহনের মৃত্যু হয়। মোহন বা ভারতীয় কচ্ছপের কোচবিহারের বানেশ্বর শিব মন্দিরের শিবদিঘি তথা পার্শ্ববর্তী দীঘিতে এদের বসবাস। বছরের পর বছর ধরে বংশ বৃদ্ধির ফলে এখন এলাকার প্রায় একশোর বেশি পুকুরেই মোহন পাওয়া যায় এই বিরল প্রজাতির কচ্ছপ। এক সময় অস্ট্রেলিয়ান প্রাণিবিদ পিটার এদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যথেষ্ট দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন জানান মোহন রক্ষা কমিটির। কিন্তু বিগত প্রায় পাঁচ ছয় বছর থেকে এই রক্ষণাবেক্ষণ এক প্রকার বন্ধ। একদিকে পাচার অন্যদিকে মৃত্যু মোহনের অস্তিত্বকে সংকটে ফেলেছে। কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ার যাওয়ার পথে শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে কোচবিহার-২ ব্লকের বাণেশ্বর এখানে সবসময় শিব ভক্ত এবং পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। মোহন দর্শন পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। এই মোহনদের কেন্দ্র করেই এখানকার অর্থনীতিও অনেকটা নির্ভর করে,মোহন-দর্শনে বাণেশ্বরে প্রতিদিন শয়ে-শয়ে পর্যটকের ভিড় হয়। এই কারণে জায়গাটি জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে কয়েক মাস আগে অজানা রোগে একাধিক কচ্ছপের মৃত্যুর পর পথ দুর্ঘটনায় কচ্ছপের মৃত্যুর জেরে এনিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।