কর্মসংস্থানের দিশা দেখাচ্ছে ব্যাম্বু সল্ট প্রস্তুতকারী সংস্থা

এবার পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হচ্ছে ব্যাম্বু সল্ট। শুনতে অবাক লাগছে? অবাক হওয়ার কিছু নেই এটাই এখন বাস্তব। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিমপীঠ এ তৈরি হচ্ছে এই ব্যাম্বু সল্ট ।আর সেটিই এখন মূল আলোচ্য বিষয়।দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নিমপীঠ এলাকার নাটুয়া জাইকম সল্ট তৈরী করে তাক লাগিয়েছেন প্রস্তুতকারক প্রভাত কুমার নাটুয়া। কি এই জাইকম সল্ট? তবে জানা যাক,জাকুয়াম নামে পরিচিত বাঁশের লবন মূলত ১০০০বছর আগে কোরিয়ান সন্যাসী এবং ডাক্তার দারা তৈরী হয়।উন্নত মানের বাঁশ এবং সামুদ্রিক লবন উচ্চ তাপমাত্রায় মিলিয়ে প্রস্তুত করা হয়।এই লবন মানব দেহে হজম শক্তি, ইমুনিটি সিস্টেম এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করে।এই লবণে রয়েছে অধিক মাত্রায়, মিনারেলস, ম্যাগনেসিয়াম,কালশিয়াম, আয়রন এবং পটাসিয়াম।যা হার্ট কে ভালোরাখে এবং চর্ম রোগ দূর করে।প্রতিদিন এই লবন ব্যাবহারে বাকটেরিয়া, ছত্রাকের সংক্রমণ রক্ষা যায়।এই লবণে রয়েছে আলকালাইন প্রপাটিস যা মানব দেহে পি এইচ মাত্রার সমতা বজায় রাখে।

কীভাবে তৈরী হয় এই লবন? জানাজায়, সামুদ্রিক লবন এবং নির্দিষ্ট মাপে কাটা বাঁশ মূল উপকরণ এই লবন তৈরিতে। প্রথমে নির্দিষ্ট মাপে বাঁশ কাটা হয় তারপর সেই ফাঁপা বাঁশের মধ্যে লবন ঢুকিয়ে কাদা দিয়ে মুখ বন্ধ করে উচ্চ তাপমাত্রায় আগুনে পড়ানো হয়। এতে বাঁশের সমস্ত উপাদান লবণের সাথে মিশে যায়। এই প্রক্রিয়া ৩ বার করা হয় পরবর্তী তে এই লবন বেটে প্রস্তুত করা হয় এই বাম্বু সল্ট। যদিও এই লবন ভারতের বাজারে দুষ্প্রাপ্য বলেই জানান প্রস্তুতকারী সংস্থার সদস্য। তবে এই লবণের গুনাগুন অনেক মানব শরীরের পক্ষে।যদিও বাংলার বাজারে এই লবন তৈরী করে এখন ভারতীয় বাজারে আনার ব্যবস্থাও করছে ওই সংস্থা।এই লবণ সম্পর্কে উদ্যোক্তা প্রভাত কুমার নাটুয়া জানাচ্ছেন এই লবণ বহু মূল্যবান মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং এই লবণ বানিয়ে তিনি বর্তমানে লাভের মুখ দেখেছেন তিনি চান ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হোক। তাতে করে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং মানুষের শারীরিক রোগব্যাধির কমানোর এক নতুন দিশা খুলে যাবে স্বাস্থ্য জগতে।তবে এই প্রোডাক্ট এর প্রচার বাড়লেই মানুষ এগিয়ে আসবেন বলে আশাবাদী প্রভাত বাবু।