জীবন বাঁচানোর তাগিদে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা আফগানিস্তানে

তৈরী হয়েছে আতঙ্কের পরিবেশ। এই প্রথমবার এক বিভীষিকাময় দৃশ্যের সম্মুখীন হলো বিশ্ব। দেখতে দেখতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একটা গোটা দেশ চলে গেল তালিবানি জঙ্গিদের কবলে। ফের দমবন্ধ করা পরিবেশ। আতঙ্কের মধ্যে কাটিয়েছেন বেশিরভাগ আফগানরা। তাই দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে আফগানদের মধ্যে। কাবুল বিমানবন্দরের দিকে ছুটে যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। প্রাণে বাঁচতে মরিয়া আফগানরা। একে অপরকে ঠেলে ফেলে যে ভাবেই হোক বিমানে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। যেকোনও উপায়ে এখন দেশ ছাড়তে চেষ্টা চালাচ্ছেন কাবুল, জালালাবাদ সহ আফগানিস্থানের বিভিন্ন শহরের বাসিন্দারা। কাবুল বিমানবন্দর জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এমনই ভিডিয়ো নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। টার্মিনালে হাজারে হাজারে মানুষের ভিড়। উড়ান ছাড়বে কিভাবে তা নিয়েই সংশয়।

এদিকে, আফগানিস্তান থেকে ভারত তার কর্মরত আধিকারিক এবং নাগরিকদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ ইতিমধ্যেই কাবুল থেকে দেশে ফেরানো হয়েছে শতাধিক ভারতীয়কে৷ কার্যত বিনা লড়াইয়েই রবিবার কাবুলের দখল নেয় তালিবান৷ আফগানিস্তানে শরিয়ত শাসন কায়েম করতে চায় তালিবানিরা৷ আফগানিস্তানে উদ্ধারকাজ তদারকি করতে আরও সেনা পাঠাচ্ছে আমেরিকা। সেনা পাঠাচ্ছে ব্রিটেনও। ইতিমধ্যে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, কোরিয়া, কাতার এবং ব্রিটেন-সহ মোট ৬০টি দেশ যৌথ বিবৃতিতে তালিবানদের সাধারণ মানুষের প্রতি সহনশীল হওয়ার আবেদন জানিয়েছে এবং আফগানিস্তানের সমস্ত নাগরিকের সুরক্ষায় তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাসও দিয়েছে। পাশাপাশি যেই আফগানরা দেশ ছাড়তে চায় তাদরেকেও যেন কোনও সমস্যার মুখোমুখি না হতে হয়। তবে বিণিজ্যিক বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আফগান নাগরিকরা।

অন্যদিকে, কাবুল বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের নিরাপত্তা এবং বোর্ডিং প্রক্রিয়া চলছে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ১২৯ জন যাত্রী নিয়ে কাবুল থেকে দিল্লি আসছে বলে খবর। আমেরিকা জানিয়েছে, তাদের নাগরিকদের এবং আফগানিস্তান থেকে তাদের অনুগামীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যেতে কাবুল বিমানবন্দরে প্রায় ৬ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *