এটি রাজ্যবাসীর কাছে একটি বিশেষ দিন৷ ১৯৫৫ সালের ৫ জানুয়ারি৷ সরকারি নথি অনুযায়ী এটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন৷ বুধবার ৬৭ বছরে পা দিলেন তিনি৷ দলনেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার সকাল থেকেই ছিল সাজোসাজো রব৷ সকাল থেকেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের সতীর্থরা৷ দিনের শেষে টুইটে তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পেয়ে ‘রাজনৈতিক শত্রুতা’ ভুলে পাল্টা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও৷
বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানোর পর্ব৷ কিন্তু দিনভর ব্যস্ততার মধ্যে শুভেচ্ছা জানানোর সুযোগ পাননি নমো৷ তাই শুভেচ্ছা জানাতে রাত পৌনে ১০টা বেজে গেল৷ দিন শেষ হওয়ার খানিক আগে টুইট করে প্রধানমন্ত্রী লিখলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। তাঁকে দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন কামনা করি।’’ টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগও করেছেন নমো৷ প্রধানমন্ত্রীর টুইট পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি লেখেন, ‘‘শুভেচ্ছা জানানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজিকে ধন্যবাদ জানাই।’’
রাজনীতির ময়দানে তাঁরা একে অপরের প্রতিপক্ষ৷ বিধানসভা ভোটের আগে গোটা বাংলা দেখেছে মমতা-মোদী দ্বৈরথ৷ এখনও সুযোগ পেলেই একে অপরকে আক্রমণ শানাতে ছাড়েন না তাঁরা৷ এই শত্রুতার মাঝেও হেভিওয়েটের দুই ব্যক্তিত্বের সম্পর্কের রয়াসন নিয়ে জল্পনা রয়েছে। কয়েক মাস আগেই দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাত সেরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীর সঙ্গে বৈঠকের আগে বিএসএফ ইস্যু উত্থাপনের কথা বলেছিলেন মমতা।
৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন পালিত হলেও তাঁর লেখা ‘একান্তে’ বইতে নিজের আসল জন্মদিনের কথা খোলসা করেছেন তিনি৷ নিজের জীবনি লিখতে গিয়ে অকপটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘মা’র কথানুযায়ী দুর্গাপূজার মহাষ্টমীর দিন সন্ধিপুজোর সময় আমার জন্ম। এর তিনদিন আগে থেকে নাকি শুরু হয়েছিল একটানা প্রবল বৃষ্টি। আমি চোখ খোলার পর নাকি বৃষ্টি থেমে যায়।”