দেশ দখল করার সাথে সাথেই ভারতীয় দূতাবাসে হামলা

তালিবানদের দেশ দখল করার সাথে সাথেই বিভিন্ন জায়াগায় শুরু হয়েছে হানা। তঠস্থ হয়ে রয়েছে সকলে। এরই মধ্যে ভারতীয় দূতাবাসে তল্লাশি চালাতে হানা দিল তালিবান। হেরাত এবং কান্দাহারে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। জানা গিয়েছে দূতাবাসে থাকা গাড়ি নিয়ে গিয়েছে তালিবান জঙ্গিরা। পাশাপাশি বিভিন্ন নথির খোঁজও করে তালিবানি জঙ্গিরা। কাবুলসহ আফগানিস্তানের প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি এলাকা তালিবানের দখলে।

কান্দাহার ও হেরাতের ভারতীয় কনসুলেটগুলিতে তল্লাশি চালায় তালেবরা। ওই দূতাবাসগুলির দপ্তরে ঢুকে আলমারি তছনছ করে কাগজপত্রের সন্ধান করে জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, দূতাবাসগুলিতে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি জঙ্গিরা নিয়ে যায়। মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তানের উসকানিতেই এই হানা দিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা। সেদেশে ভারতের কার্যকলাপ ও পরিকল্পনার হদিশ পেতেই এই তল্লাশি অভিযান তালিবানের বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।

এদিকে আফগানিস্তানের বিভিন্ন শহরে সাধারণ মানুষ তালিবানের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। এই প্রতিরোধ ঠেকাতে বহু জায়গায় গুলি চালায় তালিবান জঙ্গিরা। এর জেরে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। রাজধানী কাবুলের ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে তালিবান জঙ্গিরা। তাদের উদ্দেশ্য মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছিলেন সেই আফগান নাগরিকদের খুঁজে বের করা।

তাছাড়া, বিগত দুই দশকে আফগানিস্তান ভারতের অন্যতম মিত্র দেশ হয়ে উঠেছিল। সেদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপ অনেকটাই হ্রাস পায়। স্বাভাবিকভাবেই এতে অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যায় পাকিস্তান। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক সরকারের পতনের পর কাবুলের মসনদে বসেছে পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ তালিবান। কাবুলে প্রবেশ করেছে লস্কর, জইশের মতো ভারতবিরোধী জেহাদি দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *