রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। যতদিন এগিয়ে চলেছে ততই প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক তথ্য, নাম জড়িয়েছে একাধিকের। এমনকি গ্রেফতার হয়ে জেলে হয়েছে অনেকের। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ আট বছর থেকে বন্ধ স্কুল সার্ভিস কমিশনের দ্বারা উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ। একের পর এক মামলার কারণে জটিলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৫ সালের উচ্চ প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় সাতশোরও বেশি পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিটে ঠিক উত্তরে হোয়াইটনার বোলানো রয়েছে। তবে এমসিকিউ তে অন্য কোনও অপশনের উত্তরে টিক বা গোল দাগ দেওয়া নেই। শুধু তাই নয়, ওই সব পরীক্ষার্থীর হোয়াইটনার বোলানো উত্তরের সঙ্গে টেট মার্কস মেলালেও দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষার সময়েও তারা সঠিক উত্তরেই দাগ দিয়েছিলেন। এই নিয়েই শুরু হয় ধন্দ।
এই নিয়ে হাইকোর্টে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ ও মেধা তালিকা সম্পর্কিত মূল হলফনামা জমা দেয় কমিশন। তাতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের ওএমআর শিট বিকৃত। তবে এরপর ফের কলকাতা আদালতে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিয়েছে কমিশন। যাতে উত্তর পত্রে হোয়াইটনার বোলানো চাকরিপ্রার্থীদের একাংশকে ‘যোগ্য’ বলে বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে এসএসসি।