কৃত্রিম চিনিই ক্যানসার ডেকে আনার পিছনে কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(World Health Organization) এর  বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন কৃত্রিম চিনিই হয়ে উঠতে পারে ক্যানসারের বড় কারণ। রোজ চিনি খাওয়ার পরিমাণ সম্পর্কেও সচেতন করলেন তাঁরা। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে থাকা একটি কমিটির তরফে জানানো হয়েছে কৃত্রিম চিনি aspartame-কে এখনও পর্যন্ত ‘সম্ভাব্য কারসিনোজেন (যা ক্যানসার ঘটায়) ’-এর তালিকায় রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। কৃত্রিম চিনিই যে ক্যানসারের কারণ তার সপক্ষে সম্পূর্ণ তথ্য প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত একে সম্ভাব্যের তালিকাতেই রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

প্রসঙ্গত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে কোনও খাবার থেকে রোগ ছড়াতে পারে কিনা দেখার জন্য দুটি সংস্থা রয়েছে। একটি সংস্থা খাবারটি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর কিনা এবং অন্য সংস্থাটি খাবারের কতটা পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর তার পরিমাপ করে। কৃত্রিম চিনি বা অ্যাসপারটেম কতটা খাওয়া উচিত তার একটি পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে আগেই নির্ধারিত করা হয়েছিল।সারা দিনে শরীরে প্রতি এক কেজিতে ৪০ মিলিগ্রামের বেশি অ্যাসপারটেম প্রবেশ করলে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। ঠাণ্ডা পানীয় থেকে শুরু করে চুইংগাম, বাজারজাত অধিকাংশ মিষ্টি দ্রব্যের মধ্যেই থাকে অ্যাসপারটেম। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত এই কৃত্রিম চিনি প্রায় সবরকম মিষ্টি খাবারেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ঠাণ্ডা পানীয় কৃত্রিম চিনি দিয়ে খাবেন না সাধারণ চিনি দিয়ে এমনটা ইতিমধ্যেই অনেকে ভাবতে শুরু করেছেন। তাদের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান পুষ্টিবিশেষজ্ঞ ফ্রানসেসকো ব্রাঙ্কা(Francesco Branca) একটি পরামর্শ দিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন ঠাণ্ডা পানীয় সাধারণ চিনি বা কৃত্রিম চিনি দিয়ে খাওয়ার বদলে বিকল্প হিসেবে শুধু জলও খাওয়া যায়। ঠাণ্ডা পানীয়ের ক্ষতিকর দিকগুলির কথা মাথায় রেখেই এমন মন্তব্য করেছেন ফ্রানসেসকো।শুক্রবারের প্রথম ঘোষণায় ‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার’এর তরফে জানানো হয়েছে কৃত্রিম চিনি একটি সম্ভাব্য কারসিনোজেন।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ফুড অ্যান্ড এগ্ৰিকালচার অর্গানাইজেশনের যৌথ কমিটি ও জয়েন্ট কমিটি অন ফুড অ্যাডিটিভস বা জেইসিএফএ ঠিক করে কত পরিমানে সেটা খাওয়া যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *