রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলার অন্যতম চক্রী। এবার আরও চাপে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁর একটি নখ-নকশার বিপণি সিল করে দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গত শুক্রবার শেষ খোলা হয়েছিল এই বিপণি। তার পর থেকে বন্ধই ছিল এটি।
সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকরা। বেশ কিছুক্ষণ পর অবশেষে তা সিল করা হয়। আপাতত ওই বিপণি যে অট্টালিকার অংশ তার মালিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁরা। জানা গিয়েছে, এই বিপণি থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলেছে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ কলকাতায় পণ্ডিতিয়া রোডের ফোর্ট ওয়েসিস আবাসনের ছ’নম্বর ব্লকের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটেও হানা দিয়েছে ইডি। খাতায় কলমে এই ফ্ল্যাটটি ওম ঝুনঝুনওয়ালার নামে রয়েছে। কিন্তু, ইডির তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই ফ্ল্যাটটিও অর্পিতাকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন।
অর্পিতা ওই ফ্ল্যাটেও থাকতেন। যদিও ফোর্ট ওয়েসিস আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন অর্পিতাকে এই ফ্ল্যাটে দেখা যায়নি। সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি৷ পাটুলির পাশাপাশি বরাহনগরের নেল আর্ট পার্লারেও হানা দেওয়া হয়েছিল।
যদিও অর্পিতা স্পষ্ট দাবি করে বলেছেন, তাঁর ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকি তাঁর অজান্তেই সেই টাকা রাখা হত বলে দাবি করেছেন তিনি। শারীরিক পরীক্ষার জন্য জোকার ইএসআই আনা হয়েছিল তাঁকে। পরীক্ষার পর যখন তাঁকে গাড়িতে তোলা হচ্ছে ঠিক সেই সময়ে অর্পিতাকে টাকার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি চিৎকার করে বলেন, ”টাকা আমার নয়। আমার অনুপস্থিতিতে আমারই অজান্তে ফ্ল্যাটে টাকা রাখা হয়েছে।”