তদন্তে তৎপরতার সাথে সাথে প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক তথ্য। সম্প্রতি মহানগরীর বুকে কোটি কোটি টাকা নাগাদ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে নেমে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্লাট থেকে কোটি কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। এই মুহূর্তে জেল হেফাজতে রয়েছেন তারা।
এই পরিস্থিতিতে পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কার্যত রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন৷ এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে ইডি-র চার্জশিটে৷ গ্রেফতারের ৫৮ দিনের মাথায় বিশেষ আদালতে চার্জশিট পেশ করে ইডি৷ ওই চার্জশিটে তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন অর্পিতা। সেই বিষয়ে আপত্তি ছিল না পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও৷ দিয়েছিলেন ‘নো-অবজেকশন’ সার্টিফিকেট৷
ইডি-র চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর বিভিন্ন কোম্পানিতে তাঁর নামে থাকা শেয়ার অর্পিতার নামে হস্তান্তর করা হয়েছিল। পার্থ-ঘনিষ্ঠ এক হিসাবরক্ষক নাকি তাঁকে চাপ দিয়ে শেয়ার হস্তান্তরে রাজি করিয়েছিলেন৷ তেমনটাই লিখিত বয়ানে জানিয়েছেন অর্পিতা। ওই হিসাবরক্ষক তাঁকে বুঝিয়েছিলেন, ‘পার্থর মেয়ে বিদেশে থাকেন। তিনি কলকাতায় ফিরলে ওই শেয়ার তাঁর নামে হস্তান্তর করে দেওয়া হবে। আপাতত অর্পিতার নামে হস্তান্তর করা হচ্ছে।’