অ্যাপোলোতে জীবন ফিরে পেলেন আসামের এক মহিলা

সাফল্যের সঙ্গে একইসঙ্গে দু’টি জটিল সার্জারি করে ভারতে নজির সৃষ্টি করলো দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম প্রোটোন থেরাপি সেন্টার ‘অ্যাপোলো প্রোটোন ক্যান্সার সেন্টার’। মাল্টিমোডাল অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে ঊর্বস্থির (থাই বোন) মেগা প্রস্থেসিস ফিক্সেশন এবং একটি ক্যান্সারগ্রস্ত কিডনি অপসারণের জন্য ল্যাপারোস্কোপিক র‍্যাডিক্যাল নেফ্রেক্টোমি করার দ্বারা এক ৫৪ বছর বয়সী মহিলার শরীরে এক ‘সিঙ্গল স্টেজ সার্জারি’ করা হয়েছে। ওই মহিলা নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন অ্যাপোলোর চিকিৎসকদের প্রশংসনীয় সার্জারির ফলে।

মাস দুই আগে আসাম থেকে আসা ওই মহিলার বাম ঊর্বস্থি ফ্র্যাকচার হয়, আর তার ফলে তিনি সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। অ্যাপোলো প্রোটোন ক্যান্সার সেন্টারে বায়োপ্সি করার পর ধরা পড়ে তাঁর একটি কিডনি চতুর্থ স্তরের ক্যান্সারগ্রস্ত এবং সেই ক্যান্সার কোষ ঊর্বস্থি অবধি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ছয় ঘন্টার এক জটিল সার্জারির দ্বারা তাঁর টিউমারগ্রস্ত ‘নী-জয়েন্ট’ অপসারণ করে ‘মেগা প্রস্থেসিস’ প্রতিস্থাপন করা হয় এবং সেইসঙ্গে ‘ল্যাপারোস্কোপিক কী-হোল সার্জারি’র দ্বারা ওই রোগীর কিডনি অপসারন করা হয়। ওই রোগী প্রায় তিনমাস পর নিজের পায়ে হাঁটতে সক্ষম হন এই সফল সার্জারির পরদিনই।

অ্যাপোলো প্রোটোন ক্যান্সার সেন্টারে তাঁরা অঙ্কোলজির ক্ষেত্রে নতুন অবদান রাখছেন তাঁদের যুগান্তকারী সার্জারির দ্বারা, একথা উল্লেখ করে অ্যাপোলো হসপিটালসের চেয়ারম্যান ড. প্রতাপ সি রেড্ডি জানান, তাঁদের চিকিৎসকদলের এই সাফল্য শুধু অ্যাপোলো গ্রুপের নয়, গোটা হেলথকেয়ার ইন্ডাস্ট্রিরও কাছেও এক গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *