আরো এক গ্রেফতার হলো হাঁসখালির কান্ডে

তৎপরতার সঙ্গে কাজ চলছে হাঁসখালির কান্ডে। হাঁসখালির ঘটনায় রাতভর জেরার পর অবশেষে গতকাল গ্রেফতার করা হয় নির্যাতিতা ওই কিশোরীর প্রেমিক তথা তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে সোহেলকে। এছাড়া তার দু’জন বন্ধুকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এদিন আবার আরও একজনকে গ্রেফতার করল তারা। ধৃতের নাম প্রভাকর পোদ্দার। সোহেলের জন্মদিনের পার্টিতে নিমন্ত্রিত ছিল ওই যুবক।

হাঁসখালির এই ঘটনায় এখন রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে বাংলায়। অনেকেই উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনার সঙ্গে এর তুলনা টেনে আক্রমণ করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। যেহেতু এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে, তাই স্বাভাবিকভাবেই বড় অস্বস্তিতে শাসক শিবির। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, কিশোরীর ধর্ষণ ও পরে রক্তক্ষরণে মৃত্যুর মামলায় সোমবার ‘গণধর্ষণ’ ধারা দিয়েই ধৃত সোহেলকে রানাঘাট আদালতে হাজির করেছিল পুলিশ। তাকে ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে সোহেল গ্রেফতার হলেও এখনও বেশ কিছু ধন্দ রয়েই গিয়েছে। কারণ পুলিশ অনেকের বয়ানে অসঙ্গতি পেয়েছে।

তাছাড়া বড় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে মৃতদেহ দাহ করা নিয়ে। কী ভাবে মৃত্যুর পরে বৈধ শংসাপত্র ছাড়াই নাবালিকার দেহ দাহ করা হল তা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এটা স্পষ্ট যে, ডাক্তারের দেওয়া ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ছাড়া যদি মৃতদেহ সৎকার হয়ে থাকে, তাহলে তার দায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের। এক্ষেত্রে দোষের ভাগীদার তাদেরই হতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার মেয়ের। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন নদিয়ার হাঁসখালির নির্যাতিতা নাবালিকার মা। যদিও তিনি দাবি করেন, তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর দাবির পাল্টা দাবি মায়ের। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *