করোনা বিধি তুলে দেওয়া হলেও, থেকেই যাচ্ছে কিছু নিয়ম

সংক্রমণের সূত্রপাত আজ থেকে দু বছর আগে৷ ২০২০ সালের মার্চ মাস৷ করোনার থাবার দেশজুড়ে জারি করা হয় লকডাউন৷ এর পর থেকে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে হাজারো বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়েছে৷ গত দুই বছর ধরে সংক্রমণের ওঠানামার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কখনও কঠোর, কখনও আবার সেই বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে৷ তবে তা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়নি৷ তবে পরিস্থিতি এখন প্রায় স্বাভাবিক৷ সংক্রমণ নিম্নমুখী হতেই পুরোপুরিভাবে বিধিনিষেধে ইতি টানা হল। কেন্দ্রের ঘোষণার পর আজ থেকেই দেশের সমস্ত কোভিডবিধি সমাপ্ত হতে চলেছে। তবে ভিড়ে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং নিয়মিত হাত ধোয়ার শর্ত ভুললে চলবে না বলেই জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কারণ কোভিড নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, তা বিদায় নেয়নি৷ 

গত ২৪ মার্চ কেন্দ্রের তরফে কোভিডবিধি প্রত্যাহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়। কেন্দ্রের নির্দেশিকা আসার পরেই একাধিক রাজ্য সরকার করোনা মহামারি সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়। সবচেয়ে বেশি করোনার কবলে পড়া মহারাষ্ট্রেও মাস্ক পরার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্য়াহার করে নেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গ সরকারও করোনা বিধি শিথিল করে নাইট কার্ফু সহ এই সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে দিল্লিও৷ তবে খোলা জায়গায় ভিড়ের মধ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ 

গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি পাঠান৷ তিনি বলেন, দীর্ঘ দুই বছর ধরে দেশে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ লাগু ছিল৷ বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক৷ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ সমস্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ৩১ মার্চই করোনা বিধিনিষেধ শেষ হয়ে যাচ্ছে৷ এর পর এই সংক্রান্ত আর কোনও নির্দেশিকা জারি করা হবে না৷ তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্য়াণ মন্ত্রকের তরফে যে নির্দেশিকাগুলি জারি করা হয়ে থাকে, তা আগের মতোই প্রয়োজন অনুসারে প্রকাশ করা হবে। আপাতত মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রেখে চলতে হবে৷ নির্দেশিকা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *