বড় অভিযোগ থাকলেও মুক্তি পেলেন তিনি। ব্যর্থ হলো দীর্ঘদিনের সব চেষ্টা। দীর্ঘ আইনি টানাপোড়েনের শেষে পলাতক হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে জামিন দিল ডমিনিকার আদালত। স্বাস্থ্যজনিত কারণে মেহুল চোকসির অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করল ডমিনিকার আদালত। চিকিৎসার জন্য আপাতত তাঁকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছে ডোমিনিকার আদালত। তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে অ্যান্টিগা-বারবুডায় ফেরত যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। অ্যান্টিগা থেকে অবৈধভাবে ডমিনিকায় প্রবেশ করার অপরাধে জেল হয়েছিল তার ৷ গত ২৩ মে থেকেই সেখানকার জেলে বন্দী ছিলেন চোকসি ৷ ১৩ হাজার কোটি টাকার পিএনবি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত চোকসির প্রত্যর্পণের জন্য ডমিনিকার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ভারতীয় এজেন্সি। সব পরিশ্রম জলে গেল তাঁদের।
উল্লেখ্য, তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে দেশ ছাড়েন চোকসি। তার কয়েকদিনের মধ্যেই এই হীরে ব্যবসায়ীর নামে আর্থিক তছরুপ ও প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসে। পরে জানা যায়, অ্যান্টিগা নাগরিকত্ব নিয়ে সেই দ্বীপেই আস্তানা গেড়েছেন মেহুল চোকসি। সেদিন থেকে এখনও পর্যন্ত চোকসি আর ভারতে পা রাখেননি। কিন্তু সম্প্রতি অ্যান্টিগা থেকে কিউবা যাওয়ার পথে তাঁকে ডোমিনিকায় আটক করা হয়। জেলবন্দি অবস্থায় তাঁর ছবি প্রকাশ্যে চলে আসে। এরপরই চোকসিকে দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্রও। এখনও পর্যন্ত তা সম্ভব না হলেও পলাতক ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরাতে মরিয়া কেন্দ্র।