চলতি বছর এগিয়ে এসেছে বৃষ্টির মরশুম। মরশুম এগিয়ে আসতে দেশ জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এবার একটানা বৃষ্টিতে মুম্বইয়ের পর এবার গুজরাটেও তৈরি হল বন্যা পরিস্থিতি। জানা যাচ্ছে বিগত কয়েক দিন ধরেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্মুখীন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য।
পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই গুজরাটের এই বন্যা সাত জনের প্রাণ কেড়েছে। সোমবার রাতেই এই মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এনেছেন গুজরাটের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের মন্ত্রী রাজেন্দ্র ত্রিবেদী।
তিনি জানিয়েছেন, রবিবার রাত থেকেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদসহ নভসারী, খেড়ার মতো একাধিক জেলায়। এই সমস্ত জায়গায় জলের পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে একদিনে প্রায় নয় হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকা থেকে ৪৬৮ জনকে উদ্ধার করেছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু তার মধ্যেই একদিনে সাতজনের প্রাণ গিয়েছে। অন্যদিকে আগামী বেশ কয়েকদিন গুজরাটে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
আইএমডির তরফ থেকে জানানো হয়েছে আরো পাঁচ দিন এই রাজ্যে দুর্যোগ চলবে। ফলে রাজ্যের মানুষকে আরও সতর্ক থাকার আবেদন জানানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে আহমেদাবাদে। রিপোর্ট বলছে শুধু রবিবারেই আহমেদাবাদে বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২১৯ মিলিমিটার।
এর জেরে এই শহরের নদী-নালা সমস্ত উপচে পড়ে জনজীবন সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টায় যে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই আহমেদাবাদের বাসিন্দা বলেই জানা যাচ্ছে। এদিকে রাস্তাঘাট জলে ডুবে থাকার কারণে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত।
রেললাইন জলের তলায়। ফলে বিপর্যস্ত ট্রেন পরিষেবাও। পশ্চিম রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় চারটি যাত্রীবাহী ট্রেন এবং একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে জল জমে থাকার কারণে। গুজরাটের এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে খবরাখবর নিতে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে ফোনেও কথা বলেছেন বলে জানা যাচ্ছে। বন্যা কবলিত এই রাজ্যকে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।