গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছিল তার দায়িত্ব নিয়ে। এই জল্পনাকে সত্যি করে এবার দায়িত্ব কমল জেলবন্দি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের৷
তাঁর বীরভূমের গড়ে হাত না পড়লেও, পূর্ব বর্ধমানে যে তিনটি বিধানসভা এলাকার দেখভাল করতেন অনুব্রত, এবার তা হতছাড়া হল৷ কেষ্টর হাত থেকে মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম ও আউশগ্রামের দায়িত্ব কেড়ে তা দেওয়া হল সেই জেলারই তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের এক বৈঠকে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব এমনই নির্দেশ দিয়েছেন৷ তৃণমূল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এ দিন কোনও আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই অনুব্রতের হাতে থাকা পূর্ব বর্ধমানের তিন বিধানসভা কেন্দ্র দেখভালের দায়িত্ব রবীন্দ্রনাথের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷
তবে তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশ, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম ও আউশগ্রামের নেতাদের আপাতত পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম, দুই জেলার নেতৃত্বের সঙ্গেই সংযোগ রেখে চলতে হবে৷ সিবিআই হেফাজত শেষে বুধবার অনুব্রতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত৷
ওই দিন বিকেলেই আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে। আপতত আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে। সেখানে একটি চৌকি ও কম্বল দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সাধারণ কয়েদিের মতোই বুধবার রাতে জেলের খাবার খেতে হয়েছে কেষ্টকে৷
রুটি, ডাল ও আলু-কুমড়োর তরকারি খেয়ে শুতে যান তিনি। জেল সূত্রের দাবি, খাওয়ার সময় আর একটু তরকারিও চান অনুব্রত। তবে কারও সঙ্গে বিশেষ কথাবার্তা বলেননি। রাতে জেল কর্মীরা তাঁর খোঁজ নিতে গেলে জানান, সামান্য শ্বাসকষ্ট হচ্ছে৷
তাঁর ওয়ার্ডে একটি অ্যাটাচ শৌচালয় রয়েছে৷ তাতে কমোডের বন্দোবস্তও রয়েছে৷ বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ার্ডের ওই শৌচাগারেই স্নান সেরে রুটি-তরকারি দিয়ে প্রাতরাশ করেন।
এর পর আসানসোল সংশোধনাগার থেকে পুলিশের পাঁচটি গাড়ির কনভয়ে তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় অনুব্রতরষ হাসপাতালে পৌঁছনোর পর রোগীর আত্মীয় পরিজনদের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় তাঁকে৷