ব্যারাকপুরে জীবিত বৃদ্ধের খোঁজ মিলল ২৪ বছর পরে

২৪ বছর পর বাবার খোঁজ পেয়ে খুব খুশি তার রাজকুমার চৌরাসিয়া।ছেলে জানান ১৯৯৯ সালে অসমের তেজপুরে সেনাবাহিনীর এমইএস বিভাগে কাজ করত ।সাত বছর কোনও খোঁজ না পাওয়াই ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী একটিপুতুল দাহ করে এ দিকে, ব্যারাকপুরে সেনা এলাকার আশপাশেই দেখা পাওয়া গেলো এক বৃদ্ধ ভবঘুরের।মুখ ভর্তি দাড়ি হিন্দি কথা বলে ।একটূতে রেগে যেতেন।কিন্তু কেউ খাবার দিলে তাকে স্যালুট কড়তে ভুলত না স্যালুটে ছিল সেনাকর্মীর আদব কায়দার ছোঁয়া। সেই কায়দাই তাঁকে ২৪ বছর পরে পরিবারের কাছে ফেরাতে সাহায্য করল।স্মৃতি হারিয়ে রাধে চৌরাসিয়া নামে বৃদ্ধও ব্যারাকপুরে রাস্তাই দিন কাটছিল খাবার না পেলে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে খেতেন।

বর্তমানে ৮০ বছর বয়েস তার ।বাড়ি ছিল উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের পাশে দেউড়িয়া জেলায়।রাজকুমার তখন ১৫ বছরের কিশোর। তিনি বলেন, ‘‘তখন তো টেলিফোনের ততটা ছিল না।তাই বাবা ছুটিতে আসার আগে চিঠি পাঠাতেন।সেই বছর বাবা জানুয়ারিতে আসবে বলে চিঠি পাঠালো। তবে বাবা আসলো না , আমরা ভাবলাম,ছুটি পাইনি বাবা হয়তো।পরে যখন আবার চিঠি এল বাবা ছুটি নিয়েছিল আর কাজে আসেনি। কোথাও বাবাকে পাইনি সাত বছর কাটার পর।

সেনাবাহিনীর নিয়মেএকটা পুতুলকে বাবা ভেবে পারলৌকিক কাজও করে রাজকুমার তিনি বোলে যে তার মা জীবিত থাকলে খুব খুশি হতো ।স্বামীর দেহ না দেখলেও ১৭ বছর আগে মাকে মেনে নিতে হয় যে, তিনি বেঁচে নেই রাজকুমার বলে ‘‘বাবা বেঁচে থাকলেও মা শেষ জীবনে তাঁর মৃত্যুশোক বয়ে বেড়িয়েছেন।হ্যাম রেডিয়ো সংগঠনের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস বলে। বৃদ্ধকে খাবার দেওয়ার সময় সময়ে আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করতাম।এক দিন দেউড়িয়া জেলার বলে উনি। ইন্টারনেটে খুঁজে দেখলাম, জেলার নামটা ঠিক।পরে আবার জানলাম উনার মেয়ে নাম অনিতা উনি ডাকত সীতা।সব চেয়ে বড় ক্লু ছিল,সেনাদের মতো উনার স্যালুট করার কায়দা।ওই সংগঠন জানাচ্ছে, বৃদ্ধের স্যালুট করার তথ্য আর জেলার নাম।তার উত্তরপ্রদেশের সদস্যদের পাঠানোর পর বৃদ্ধের পরিচয় পরিচয় উদ্ধার হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *