ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে চিনে

গত বছরের শেষের দিক থেকেই নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা, এর ফলে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। সংক্রমণ কম হওয়ার লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি উলটে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে চিনে। চিনের শহরের থেকে গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও বেশি খারাপ। সেখানে অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছেন। অনেক হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিষেবা দেওয়ায় সরঞ্জাম নেই। ফলে পরপর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালগুলি। অনেক বয়স্ক মানুষ আবার কোভিডের আতঙ্কেই আত্মহত্যা করে নিচ্ছেন।

কয়েক মাস পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকার পর হঠাৎ করেই কোভিড বাড়তে শুরু করে চিনে। এখন জানা গিয়েছে, রীতিমত করোনা সংক্রমণে ধুঁকছে দেশের গ্রামীণ এলাকা। ওষুধ এবং চিকিৎসার অন্যান্য সরঞ্জামের চরম অভাব দেখা দিয়েছে হাসপাতালগুলিতে। ফলে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবা। যদিও এই অবস্থায় চিনের কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা কত তা জানা মুশকিল। কারণ কোভিডের দৈনিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে বেজিং সরকার।

ইতিমধ্যেই ভারত সহ একাধিক দেশ চিনা পর্যটকদের নিজেদের দেশে প্রবেশে বিধিনিষেধ জারি করেছে। স্পষ্ট বলা হয়েছে, চিনা নাগরিকদের ঢুকতে গেলে মানতে হবে কোভিড বিধি। কোনও দেশ বলেছে নেগেটিভ আরটিপিসিআর বাধ্যতামূলক, কোনও দেশ বলেছে করোনা পরীক্ষা করতে হবে। নেগেটিভ হলেই প্রবেশ করতে পারবে চিনারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *