চলাচলের অযোগ্য ব্রিজ,সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু এক ব্যাক্তির

দীর্ঘ প্রায় চার বছর ধরে ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে রয়েছে কোচবিহার এক নং ব্লকের চান্দামারী এলাকায় ধরলা নদীর উপর তৈরি ব্রিজ।সেজন্যই প্রাণ হাতে নিয়ে ব্রিজের পাশে তৈরি অস্থায়ী বাসের সাঁকোতে করে প্রত্যেকদিন যাতায়াত করতে হয় প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে।আর এবার সেই বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল কোচবিহার ১ নং ব্লকের চান্দামারী এলাকার বৈরাতি গ্রামের সঞ্জীব দত্ত নামের এক ব্যবসায়ীর অভিযোগ এলাকাবাসির।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গত পরশুদিন ওই ব্যবসায়ী বাজার থেকে ফেরার সময় থেকেই নিখোঁজ ছিলেন।পরবর্তীতে পরিবারের লোকেরা এবং স্থানীয়রা খোঁজ করলে ধরলা নদীর ভাঙ্গা ব্রিজ সংলগ্ন বাসের সাঁকো থেকে উদ্ধার হয় সেই ব্যবসায়ীর ব্যবহৃত সাইকেল।এইদিন ভোরবেলা সেই বাঁশের সাঁকোর নিচে নদীর অগভীর জলে কচুরিপানার মাঝেই সেই ব্যবসায়ীর মৃতদেহের মাথা ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা।তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশে পরবর্তীতে পুলিশ এসে সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।এদিকে বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় মহলে।স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘ চার বছর ধরে ধরলা নদীর সেই ব্রিজ ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে রয়েছে কিন্তু হেলদোল নেই নেতা-মন্ত্রী সহ কোন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।এমনকি তারা আরো অভিযোগ করেন ভোট আসলেই এই ব্রিজ মেরামতির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় কিন্তু ভোট পেরিয়ে গেলেই ব্রিজ মেরামতির কথা সকলেই ভুলে যান।তাদের আরো অভিযোগ বিগত পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোচবিহার চান্দামাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহার জেলার একমাত্র জনসভা করতে এলেও সেখানেও স্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও সেই ভাঙ্গা ব্রিজ মেরামতির কোন আশ্বাস তারা শুনতে পাননি। তাদের দাবি অতি দ্রুত যদি সেই ভাঙা ব্রিজ মেরামত না হয় তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *