ঐতিহ্যবাহী বোল্লা রক্ষা কালী মাতার পুজো উপলক্ষ্যে ভোগ তৈরিতে ব্যস্ত গঙ্গারামপুরের বাতাসা প্রস্তুত কারকেরা। মাঝে আর কয়টা দিন তারপরেই বোল্লা রক্ষা কালী মাতার পুজোতে মাতবে ভক্তরা। তাই এখন দিনরাত এক করে গঙ্গারামপুরের বাতাসা কারখানা গুলিতে চলছে মায়ের ভোগ তৈরির কাজ। মায়ের ভোগের তালিকায় রয়েছে বাতাসা, কদমা,খাগড়াই,সাজ ও লাড্ডু। উল্লেখ্য উত্তরবঙ্গের বৃহৎ বোল্লা রক্ষাকালী মাতার পুজোয় প্রতিবছর লাখো ভক্তের সমাগম হয়। রাজ্যের কলকাতা, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, মালদা সহ রাজ্যের বাইরের থেকে ভক্তরা আসেন বোল্লা রক্ষাকালী মায়ের কাছে পুজো দিতে।
বোল্লা রক্ষাকালীর পুজো ঘিরে জমে ওঠে মেলা। চারদিন ব্যাপি মেলা চলায় জমে ওঠে বেচাকেনা। সেইসঙ্গে মায়ের কাছে ভোগ দিতে প্রচুর কদমা, বাতাসা, খাগরাই বিক্রি হয়। স্বাভাবিক ভাবে পুজোর প্রায় এক মাস আগে থেকে ভোগের এই বাতাসা, খাগরাই, কদমা তৈরি করে থাকেন গঙ্গারামপুরের শিল্পীরা। পুজোর সাত দিন আগে থেকে বাতাসা, খাগরাই, কদমা কিনতে বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা আসেন। আর পুজোর তিন দিন আগে থেকেই বাতাসা প্রস্তূত কারকরা দোকান নিয়ে বোল্লায় হাজির হন। হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন তারপরেই মায়ের পুজো। তাই এখন গঙ্গারামপুরের বাতাসা কারখানা গুলিতে জোর কদমে চলছে মায়ের ভোগ তৈরির কাজ। এ বিষয়ে কারখানার মালিক বলরাম কুন্ডু জানান।