শক্তিক্ষয় গেরুয়া শিবিরে

বিধানসভা উপ নির্বাচনের আগে তালডাংরা বিধানসভা এলাকায় শক্তিক্ষয় গেরুয়া শিবিরের। সিমলাপালে দলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ছেড়ে ১৮১ জন তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে। এদিন ‘দলবদলু’দের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ অরুপ চক্রবর্ত্তী। উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা অন্যতম জেলা সহ সভাপতি রামানুজ সিংহমহাপাত্র, সিমলাপাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি, উপ নির্বাচনের প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সনৎ দাশ সহ সহ অন্যান্যরা।

এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা অরুণ লোহার নিজেকে ওই দলের জেলা এস.সি মোর্চার সহ সভাপতি দাবি করে বলেন, বিজেপিতে থেকে মানুষের জন্য করার সুযোগ ছিলনা, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই তাই তৃণমূলে আসা। তবে তাদের এই দলবদলে আসন্ন বিধানসভা উপ নির্বাচনে প্রভাব পড়বে বলে তিনি দাবি করেন। মণ্ডলগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫৫ নম্বর বুথের বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি নরেন লোহারের দাবি, উপ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আমার পছন্দ হয়নি, দলকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। বিজেপিতে কি যোগ্য লোকের অভাব ছিল! যদি তৃণমূল থেকে আসা লোকেদের বিজেপির প্রার্থী করতে হয়, তাহলে তৃণমূল করাই ভালো বলে তিনি দাবি করেন।এবিষয়ে সিমলাপাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি, তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু বলেন, ওনারা অনেক আগেই আবেদন করেছিলেন।

শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে অনুমোদন পাওয়ার পরই বিজেপি সহ অন্যান্য দল থেকে আসা ১৮১ জনকে তৃণমূলে যোগ দানের সুযোগ দেওয়া হলো বলে তিনি জানান। বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ অরুপ চক্রবর্ত্তী বলেন, ওদের বিজেপি ছেড়ে আসার কারণ ওই দলের কার্যকলাপে বাংলার উন্নতি হচ্ছেনা, অবনতি হচ্ছে-ওষুধের দাম বাড়ছে, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। উচ্ছৃঙ্খল দল জনসমর্থণ হারাচ্ছে। এছাড়াও এই এলাকার কাওকে তারা টিকিট দিলনা, বিজেপি কর্মীরা এই ঘটনাতেও আঘাত পেয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এবিষয়ে বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘নাটকে আর কাজ হচ্ছেনা, তৃণমূলের পক্ষ থেকে মিথ্যাচার এমন পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে যে নিজেদের দলের কর্মীকে জামা পরিয়ে আবার জামা পরাতে হচ্ছে’। সাধারণ মানুষ জোট বেঁধেছে, তালডাংরা বিধানসভা উপ নির্বাচনে বিজেপির জয় সুনিশ্চিত বলেও তিনি দাবি করেন।