উদ্ভাবনী প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এমএআই ল্যাবস, সম্প্রতি মায়াভার্স লঞ্চ করার ঘোষণা করেছে। প্ল্যাটফর্মটি এআই-এর সংমিশ্রনে ডিজিটাল ক্ষেত্রের মধ্যে মানুষের মিথস্ক্রিয়া এবং সৃজনশীলতাকে বিপ্লব করতে তৈরী করা হয়েছে, যা অসাধারণ ভার্চুয়াল ইম্মার্শন প্রদান করবে। ম্যাকিন্সির রিপোর্ট অনুসারে নিমজ্জিত প্রযুক্তি খাতটি ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার উপার্জন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি বাণিজ্যিক এবং ব্যক্তিগত উভয় ক্ষেত্রেই বিপ্লব ঘটাবে। ইতিমধ্যে এতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করা হয়েছে। মায়াভার্স আমাদের জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করবে। কোম্পানি বিশ্ব জুড়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১৭.৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি তহবিল অর্জন করেছে, পরবর্তী ৫০ মিলিয়ন ডলার অর্ধ বিলিয়ন ডলার মূল্যায়নে উত্থাপিত হয়েছে।
মায়াভার্স হল একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্ল্যাটফর্ম যা আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা ডিজিটাল এবং ভৌত জগতকে একত্রিত করে ফটোরিয়েলিস্টিক পরিবেশ তৈরি করবে। এর রেন্ডার স্ট্রিম টেকনোলজি ব্যবহারকারীদের মৌলিক হার্ডওয়্যার এবং ইন্টারনেট সংযোগ সহ যেকোনো ডিভাইসে উচ্চ-মানের সামগ্রী অভিজ্ঞতা করার সুযোগ দেবে। এর মূল হল এমএআই সিটি (MAICity), যা ১৭,০০০ আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বের সাথে ১০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে। এটি নির্মাতাদের তাদের ডিজিটাল সৃষ্টি প্রদর্শন, সুরক্ষা, শেয়ার এবং নগদীকরণ করার অনুমতি দিয়ে তাদের ক্ষমতায়ন করে। মায়াভার্স লার্নিং মডিউল এবং ইন্টারেক্টিভ ওয়ার্কশপ সহ বিভিন্ন ভার্চুয়াল অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
এমএআই ল্যাবসের চিফ ভিশনারি তপন সাঙ্গল (Tapan Sangal) জানিয়েছেন, “এমএআই ল্যাবস মায়াভার্স চালু করেছে, এই প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য ব্যবহারকরীদের নিমজ্জিত প্রযুক্তি এবং এআই-এর সাহায্যে তাদের ডিজিটাল সামগ্রী বিকাশ, সহযোগিতা এবং নগদীকরণ করতে সক্ষম করে নির্মাতা অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটানো।”