ইডি ও সিবিআই গরুপাচার থেকে কয়লাপাচারের তদন্তে নমেছে । এমনকী গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু এত কিছুর পরও সীমান্তে কি অব্যাহত রয়েছে গরুপাচার? উঠছে প্রশ্ন। কারণ, পাচার রুখতে আবারও সীমান্তে চলেছে বিএসএফ ও পাচারকারী গুলির লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে মৃত্যু এক পাচারকারীর। বিএসএফ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম কাজিরুল মহম্মদ (৪৬)। তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ ব্লকের ভাঙা মালি গ্রামে। কাজিরুল এলাকায় পুরনো পাচারকারী হিসাবে পরিচিত।
সোমবার রাত্রিবেলা জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের খাল পাড়া সীমান্ত দিয়ে পাচারকারীদের একটি বড়সড় দল গরু পাচারের চেষ্টা করছিল। বিষয়টি নজরে আসে সেখানে কর্তব্যরত ১৯৫ নং ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা। তাঁরা প্রথমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপরই জওয়ানদের উপর হামলা চালায় পাচারকারীরা। বেশ কয়েকজন বিএসএফ আধিকারিক জখমও হন।
বিএসএফরা জানায় যে, আত্মরক্ষার স্বার্থে তারা গুলি চালায়। দুপক্ষের লড়াইয়ে কয়েকজন পাচারকারী পালিয়ে যায়। তবে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঘটনাস্থলেই পড়েছিলেন কাজিরুল। বিএসএফ আধিকারিকরা তাঁকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। সেখানেই অভিযুক্ত পাচারকারীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।