ত্রিপুরার উপজাতি ও গ্রামীণ সম্প্রদায়ের জন্য বাঁশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ, প্রায় ১৪৯,০০০ কারিগর এই অনন্য ঘাস থেকে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে। রাজ্যের প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপে গ্রীষ্মমন্ডলীয় আর্দ্র পর্ণমোচী বন এবং চিরহরিৎ প্রজাতি রয়েছে, যার ১৯টি সাধারণ প্রজাতি প্রায় ৩,২৪৬ কিমি জুড়ে বিস্তৃত। এর গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও, বর্তমানে বাঁশ সম্পদ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বালিপাড়া ফাউন্ডেশন এবং উইমেনস ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ৩ মে ত্রিপুরা আঞ্চলিক পূর্ব হিমালয়ান ন্যাচারনমিক্স ফোরামের আয়োজন করে, যেখানে বাঁশের জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব এবং জীবন ও বাস্তুতন্ত্রের উপর এর প্রভাব তুলে ধরে।
২০০৭ সালে শুরু হওয়া বালিপাড়া ফাউন্ডেশন একটি সম্প্রদায়-ভিত্তিক সংস্থা যা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং গ্রামীণ সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য কাজ করে। এই ফোরামে ত্রিপুরা জীববৈচিত্র্য বোর্ড, ত্রিপুরা বাঁশ মিশন, নর্থ ইস্টার্ন ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশন লিমিটেড (NEDFI), ত্রিপুরা বাঁশ ও বেত উন্নয়ন কেন্দ্র (TRIBAC) এবং মহিলা কল্যাণ সমিতি সহ মূল স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন। এই সংস্থাগুলি তাদের বিভিন্ন উদ্যোগ, স্কিম এবং এই মূল্যবান সম্পদের কার্যকরিতার বিষয়ে আলোচনা করেছে। মহিলা কল্যাণ সোসাইটি বাঁশের কারুকাজ এবং কারুশিল্পের ক্ষেত্রে মহিলাদের দ্বারা সম্মুখীন হওয়া বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলির বিষয়ে আলোচনার আয়োজন করেছিল। এই অনুষ্ঠানটি নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে ও একটি সহযোগ পরিবেশ গড়ে তুলেছে।
ত্রিপুরা জীববৈচিত্র্যের সদস্য অনিমা দাস বলেছেন, “বর্তমানে বাঁশ সম্পদ সঙ্কটের রয়েছে , তাই এই সসম্পদের চাহিদা ও উৎপাদনের ভারসাম্য বজায় রাখা অতি আবশ্যক। জীববৈচিত্র্য ও বনকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং সম্পদের ক্ষয় রোধ এবং জৈব সম্পদ রক্ষার জন্য টেকসই ফসল কাটার অভ্যাসে সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।”