এবার জল জীবন মিশণ প্রকল্পের মাধ্যমে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার নাম করে ব্যাপক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসলো।জলের জন্য মিছিল নেই কিন্তু জল জীবন মিশনের সাইনবোর্ড ঝুলানোকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকার মানুষ দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে। জানা গেছে মোহনভোগ আর ডি ব্লকের অন্তর্গত তেল কাজলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নং ওয়ার্ডের মুড়াপাড়া এলাকায় চুনু মিয়া অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে দীর্ঘদিনের জলের সমস্যা ছিল তাই সংশ্লিষ্ট ডি ডাব্লিও এস দপ্তর সেই সমস্যার সমাধান করার নামে দুর্নীতির খাতায় নাম নথিভুক্ত করলো।
এই অঙ্গনওয়ারী সেন্টারে জল জীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে তিন লক্ষ্য টাকা ব্যয় করে পানীয় জলের মেশিন বসানো হয়েছে, ঠিক এমন একটি বিশাল বড় সাইনবোর্ড বসানো হলো কিন্তু দেখা নেই জলের মেশিনের! অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের শিক্ষিকা সহ স্থানীয় এলাকাবাসীরা জলের মেশিন ছাড়া সাইনবোর্ড দেখতে পেয়ে বুঝার অপেক্ষায় রাখেনি যে সুশাসনের মুখে কতটুকু চুনকালি মাখছে সংশ্লিষ্ট ডিডাব্লিউএস দপ্তর। এদিকে যেমন অঙ্গনারী সেন্টারের পুরনো সেই জলের সমস্যা রয়েই গেল অন্যদিকে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের নামে আসা জলের মেশিনটি এলাকার উপ-প্রধান সুবহান মিয়ার জামাই চারো মিয়ার বাড়িতে নিয়ে বসানো হয়। আর এদিকের সরকারি জলের মেশিন পেয়ে চারু মিয়া নিজের সবজি খেতে জল সেচ সহ কিছু মানুষের বাড়িতে জলের ব্যবস্থা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে আসছে।
যদিও স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট ডিডাব্লিউএস দপ্তরের কাছে বিষয়টি জানতে গেলে দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়ে দেন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে জলের মেশিন বসানোর দায়িত্বটি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের হাতে দায়িত্ব দিয়ে দেন। তবে পঞ্চায়েত প্রতিনিধি রাজ্যে কিভাবে দুর্নীতি করে অঙ্গনারী সেন্টারের জলের মেশিন অন্যত্র সরিয়ে দিয়ে দুর্নীতি করবে তা কেউ গুনাক্ষরেও টের পায়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের ইশারায় রাতের অন্ধকারে চুপচাপ জল জীবন মিশনের সাইনবোর্ড বসিয়ে দিয়ে যায় কিন্তু মঙ্গলবার সকালে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের শিক্ষিকা এই দৃশ্য দেখে হতবাক। তবে এই ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।